অগস্টের ৯ তারিখ আরজি কর থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলা চিকিৎসকের দেব। তরুণী এই চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল বলে জানা যায়। তার দেহের পাশ থেকে একটি ব্লু টুথ ইয়ারফোন পাওয়া গিয়েছিল।
সেই ব্লু টুথ ইয়ারফোনের সূত্র ধরে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার সেই ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধারের খবর এল প্রকাশ্যে।
জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। যা ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য। ১৪ অগস্ট ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
মোবাইলের সূত্র ধরেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বর্তমানে যাচাইয়ের জন্য সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে আছে মোবাইল। আছে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া অন্যান্য বৈদ্যুতিন সামগ্রী।
কার এই মোবাইল? কেন ঘটনার পরই পুলিশ সেটি পেল না? এর পিছনে কোন কারণ লুকিয়ে? তা নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য।
এদিকে এখনও চলছে ঘটনার তদন্ত। এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক রহস্য সামনে এসেছে। হাসপাতালের দুর্নীতি সামনে এসেছে।
তরুণীর মৃত্যু রহস্য তদন্ত করতে গিয়ে আন্দাজ করেছেন, ধর্ষণ নয় তাঁকে খুন করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। সম্ভব সে হাসপাতালের দুর্নীতি সম্পর্কে জানতে পেরে গিয়েছিল।
ব্যবহার করা ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ ও স্যালাইনের বোতল বেআইনিভাবে ফের চলে আসছে হাসপাতালে, তা সে নজর করে। তা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিল মেয়েটি।
তার জেরেই সে টার্গেট হয়েছিল বলে আন্দাজ। আরজি করে সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর চক্রের সদস্যরা তাঁকে টার্গেট করে। তাঁদের মোবাইল ঘেঁটে এমন কিছু অডিও পায় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
সিবিআই জেনেছে, সন্দীপ ঘোষকে তাঁর এক ঘনিষ্ঠ মন্তব্য করেছেন যে, ‘মেয়েটা বড্ড বাড়াবাড়ি করছে।’ আপাতত চলছে ঘটনার তদন্ত। এখনও সঠিক তথ্য উদ্ধারের অপেক্ষায়।