Sacked Teachers’ Protest: কাজ চলে গেছে তাদের। এবার চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা নামলেন রাস্তায়।
Sacked Teachers’ Protest: চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকরা রাস্তায় আন্দোলনে নামতেই হটাৎ করেই অ্যাক্টিভ হয়ে গেল পুলিশ (Kolkata Police)। কার্যত, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অ্যাকশনে নেমে পড়লেন তারা। একজন পুলিশ আবার লাথিও চালিয়ে দিলেন! চাকরিহারাদের কপালে জুটল লাঠিপেটাও। রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ, আর ঘটনাটি ঘটছে সেই রাজ্যের রাজধানী কলকাতায়। নজিরবিহীন ঘটনা বললেও কি কম বলা হবে (sacked teachers' movemnt)?
এমনকি, আসরে নেমে গেল র্যাফ এবং চলল দেদার লাঠিচার্জ। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফেলে মারল পুলিশ। আর তাতেই যেন ক্ষোভের আগুন আরও বেড়ে গেল। এরপর হাতে ৫০০ টাকার নোট নিয়ে এগিয়ে এলেন বিক্ষুব্ধরা। জোরে জোরে বলতে থাকলেন, “ঘুষ দেব ঘুষ! এই পুলিশ, টাকা নিয়ে যা টাকা।”
কেউ আবার তারই মাঝে ২ টাকা এগিয়ে দিয়ে বললেন, “ওরা তো ৫০০ টাকারও যোগ্য নয়।" এদিন সকাল থেকে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের নানা প্রান্ত। বারাসাত থেকে শুরু করে কাঁথি, কিংবা আসানসোল। কখনও আবার মালদাতে ডিআই অফিসে আছড়ে পড়ল প্রতিবাদীদের বিক্ষোভ। সেখানে আবার তালাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার, ডিআই অফিস অভিযানকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠল দক্ষিণ কলকাতার কসবা (Kasba)। এখানেই চাকরিহারাদের উপর আক্রমণ পুলিশের। লাঠি এবং লাথি! দুইই চালাল কলকাতা পুলিশ। চাকরিহারাদের ফেলে পেটালেন উর্দিধারীরা। আর সেই উত্তেজনার মাঝেই ৫০০ টাকার নোটের তোড়া নিয়ে এগিয়ে এলেন বেশ কয়েকজন চাকরিহারা শিক্ষক।
তারা চিৎকার করে বলতে থাকেন, “ঘুষ দেব ঘুষ! এই পুলিশ, আয় টাকা নিয়ে যা টাকা। আমরা পুলিশকে টাকা দিতে চাইছি। কারণ, তারা খুব ভালো কাজ করেছে। আমাদের ম্যাডামদের মেরেছে, শিক্ষকদের মেরেছে। তাই আমরা এই টাকা পুলিশকে প্রাইজ হিসেবে দিতে চাইছি। আয় নিয়ে যা।”
একটু পরেই আরও বেশ কয়েকজন পিছন থেকে এগিয়ে এলেন। তাদের মধ্যে একজন হাতে ছিল ২ টাকার কয়েন। তিনি বলতে থাকেন, “ঘুষখোর পুলিশ! আমরা ঘুষখোরদের ঘুষ দেব। যোগ্যতার মূল্য নেই, তাই আজ যোগ্য শিক্ষকরা মার খাচ্ছে। আমরা ওদের ঘুষ দিতে চাইছি। সর্বস্ব দিয়ে প্রতিবাদ চালাচ্ছি।”
একজন আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, “কারও থেকে ৫০০, কারও থেকে আবার ১০০০ টাকা নিয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন করেছে। এরা এখন ৫০০ টাকারও যোগ্য নয়। ২ টাকার যোগ্য।”