বাজার যে বেশ ছ্যাঁকা দিচ্ছে, সেকথা স্বীকার করছেন বিক্রেতারাও। ফলমূল, ফুল থেকে মিষ্টি, দশকর্মার যাবতীয় সামগ্রীর দাম আকাশ ছোঁয়া। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে দেবী সরস্বতীর মূর্তির দামও।
২৫০ টাকা থেকে শুরু প্রায় ২৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের মূর্তি সাজানো। গড়িয়াহাট বাজারে সরস্বতী পুজোর আগের দিন যেদিকে চোখ যায় শুধু থরে থরে বীণাপানির মূর্তি বসানো। বিক্রি যে একদম হচ্ছে না তা নয়, তবে আগুন বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত বাঙালি। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। ভিড় আরও বেড়েছে বুধবারে। বুধবার সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়েছে বাজারে। সাধ্যমত সাধ মিটিয়ে কেনাকাটা সেরে বাড়ির পথ ধরেছেন ক্রেতারা। বিক্রেতাদের আশা মিটিয়ে বুধবার বিকেলেও ভালোই জমে উঠেছে সরস্বতী পুজোর বাজার।
তবে বাজার যে বেশ ছ্যাঁকা দিচ্ছে, সেকথা স্বীকার করছেন বিক্রেতারাও। ফলমূল, ফুল থেকে মিষ্টি, দশকর্মার যাবতীয় সামগ্রীর দাম আকাশ ছোঁয়া। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে দেবী সরস্বতীর মূর্তির দামও। একদম ছোট ছোট মূর্তির দামই পড়ে যাচ্ছে ২৫০ টাকা। একটু বড় মূর্তির দিকে হাত বাড়ালেই প্রায় হাজার টাকার দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। শুধু স্থায়ী দোকান নয়, পুজো উপলক্ষে মূল বাজার এলাকার বাইরেও পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকে। চাপ এতটাই বেশি যে বেশির ভাগ দোকানে একজন করে অতিরিক্ত কর্মী রেখেছেন বিক্রেতারা। ছাঁচে গড়া থেকে শুরু করে বড় প্রতিমার বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। দশকর্মা ভাণ্ডারের দোকানগুলিতেও ভিড় ছিল। কুমোরটুলি থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাবগুলিতে প্রতিমা পৌঁছে গিয়েছে।
করোনা মহামারীর আতঙ্ক কাটিয়ে এবছর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক বাজারে। তাই ভিড় বেশি। এক প্রতিমা বিক্রেতা জানালেন কৃষ্ণনগরের প্রতিমা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি প্রতিমা। কৃষ্ণনগরের প্রতিমার দাম বেশ চড়া। তবে বিক্রি মোটামুটি হচ্ছে। চারশো প্রতিমা তুলেছেন, বুধবার দুপুর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে দুশোটিরও বেশি।
উল্লেখ্য, বাড়ির পুজোর ঠাকুর তো রয়েছেই। কিন্তু গত দু’বছরে স্কুলগুলোতে একটু ছোট করে পুজো হচ্ছিল। এবারে প্রত্যেক জায়গাতেই বড় করে পুজো হচ্ছে। ঠাকুরের দাম শুরু ১০০ টাকা থেকে। ২০০ টাকা, ২৫০ টাকা, ৫০০ টাকা, ২০০০ টাকা, ৩০০০ টাকার ঠাকুরও রয়েছে। বাড়ির বড়দের সঙ্গে এসে পছন্দমত ঠাকুর কিনে নিয়ে যাচ্ছে খুদেরা। রাত জেগে প্রতিমা সাজিয়ে ভোরবেলা পুজো দেওয়া পালা। তার জন্যেই প্রস্তুত হচ্ছে বাঙালি।