সন্দীপ ঘোষের কেচ্ছা ফাঁস! টাকার বিনিময় পাশ থেকে শুরু করে টেন্ডার দুর্নীতি- সবেতেই যুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ছাত্র পাশ করানো, চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনায় কমিশন নেওয়া সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
Saborni Mitra | Published : Aug 13, 2024 9:45 AM IST / Updated: Aug 13 2024, 03:16 PM IST
110
সন্দীপ ঘোষ

আরজি কর হাসাপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সেই বিষয়ে কলেজর অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রথম দিন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তিনি মৃতার পরিবারকে ভুল তথ্যদিয়েছিলেন বলে অভিযোগ পরিবারের। পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় প্রবল চাপে আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেতে ইস্তফা দেন সন্দীপ। তাঁর পরবর্তী কর্মস্থল ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু সেখানেও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ চলছে জুনিয়ার ডাক্তারদের।

210
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ

সন্দীপের পদত্যাগের পরই তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ছিলেন কলেজের চিকিৎসক থেকে শুরু করে ছাত্র ও জুনিয়ার ডাক্তাররা। সবথেকে ভয়ঙ্কর অভিযোগ টাকার বিনিময় ছাত্র পাশের।

310
টাকার বিনিময় পাশ

অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শুধুমাত্র আরজি কর নয়, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ পড়ুয়াদের সাপ্লিতে পাশ করানো, ফেল করাদের পাশ করানোর জন্য টাকা নিতেন। একএক জনের কাছ থেকে ১০ লক্ষ করে টাকা নিতেন।

410
অনার্স পাইয়ে দিতেও টাকা

সন্দীপ ঘোষ নিজের ঘনিষ্ট বিত্তের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সাবজেক্টে অনার্স পাওয়ার জন্যও টাকা নিতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

510
চিকিৎসা সরঞ্জামে কমিশন

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা থেকে শুরু করে তা ফিট করার জন্য কমিশন নিতেন সন্দীপ ঘোষ। তেমনই অভিযোগ প্রতিবাদী ছাত্রদের।

610
টেন্ডার দুর্নীতি

সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে আন্ডার গ্রাজুয়েটে স্কিল ল্যাবের টেন্ডারের দুর্নীতির অভিযোগ। তিন কোটি টাকায় এই টেন্ডার পায় মা তারা ট্রেডার্সযেখানে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ-সহ বিভিন্ন জায়গাতে এই ল্যাব তৈরি করতে ৬২ লক্ষ টাকা খরচ হয়।

710
করোনার সময় দুর্নীতি

করোনাকালে হাই ফ্লো নেজার অক্সিজেন মেশিন একেকটি প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা বা তারও বেশি টাকায় কেনার অভিযোগ উঠেছিল। বাকি সরকারি ও বেসরাকরি হাসপাতাল যেখানে এই মেশিন কিনেছিল ৩০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় সেখানে আরজি করে মেশিন কেনা হয়েছিল ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায়।

810
টেন্ডার পিছু ২০ % কমিশন

আরজি করে যে কোনও কাজের জন্যই সন্দীপ স্যারকে টেন্ডার পিছু ২০ % কমিশন দিতে হত বলেও অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। যদিও সন্দীপের প্রভাব এতটাই বেশি ছিল কেউ প্রতিবাদ করতে পারত না।

910
আরজি করের ক্যাফেটেরিয়া

আরজি কর হাসপাতালে বেশ কয়েকটি ক্যান্টিন রয়েছে। কিন্তু পছন্দের পড়ুয়াদের আবদার মেটাতে তৈরি করেছিলেন সুসজ্জিত ক্যাফেটেরিয়া। সেটাই দুর্নীতির আখড়া। দাবি আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের।

1010
পার্কিং থেকে তোলাবাজি

হাসপাতালে আসা হলুদ ট্যাক্সি, অ্যাম্বুলেন্স, সাধারণ গাড়ি সবকিছু থেকেই টাকা তোলা হত বলে অভিযোগ। প্রতিমাসে ১১ লক্ষ টাকা কমিশন তোলা হত বলেও জানিয়েছেন অনেকে।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos