আরজি কর হত্যাকাণ্ডে DNA ম্যাপিং কি নতুন সত্য উন্মোচন করবে? জানুন কি এই প্রক্রিয়া
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ মামলায় DNA ম্যাপিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এই ম্যাপিং এর মাধ্যমে খুন ও ধর্ষণে সঞ্জয় ছাড়াও আর কেউ জড়িত ছিল কিনা তা জানা যাবে।
Saborni Mitra | Published : Aug 12, 2024 2:32 PM IST
DNA ম্যাপিং
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকে সঞ্জয় রায় একাই খুন ও ধর্ষণ করেছে না আরও কেউ এই ঘটনায় যুক্ত ছিল- তা জানতে DNA ম্যাপিং করবে কলকাতা পুলিশ।
DNA ম্যাপিংএর কারণ
পুলিশ সূত্রের খরব DNA ম্যাপিং করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে মহিলা চিকিৎসককে ঠিক কতজন যৌন হেনস্থা করেছিল। নৃশংস খুনের পিছনে আর কারও হাত রয়েছে কিনা তাও স্পষ্ট হবে।
DNA ম্যাপিং-এর প্রক্রিয়া
পুলিশ সূত্রের খবর মহিলা চিকিৎসকের থেকে সিমেন স্যাম্পেল বা দেহরসের নমুনা ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করা হয়েছে। যার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে সঞ্জয়ের রক্তের নমুনা।
DNA কী
প্রত্যেক মানুষের নির্দিষ্ট DNA প্যাটার্ন থাকে। যা প্রত্যেকের আলাদা আলাদা হয়।
DNA ম্যাপিং কী
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া দেহরস, চুল, রক্ত বা চামড়া বা নির্যাতিতার নখের মধ্যে থেকে পাওয়া নমুনার সঙ্গে অভিযুক্তের নমুনার DNA পরীক্ষা করে দেখা হয়।
DNA পরীক্ষা
যদি DNA মিলে যায় তাহলে প্রমান হয়ে যাবে অভিযুক্তই অপরাধী। এই পরীক্ষা থেকে প্রমাণ হবে সেখানে সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কেউ ছিল কিনা। তৃতীয় বা চতুর্থ ব্যক্তির উপস্থিতি DNAএর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যাবে।
DNA আরও পাওয়া গেলে
DNA যদি নানা ধরনের পাওয়া যায় তাহলে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করবে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কয়েকজন ডাক্তারি পুড়ায়াকে ডেকে পাঠিয়েছিল লালবাজার।
বিক্ষোভকারীদের দাবি
ইতিমধ্যেই অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একজন মানুষের পক্ষে কি এতবড় একটা ঘটনা ঘটানো সম্ভব? আরজি করকাণ্ডে ধৃত, সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় কি একাই কালপ্রিট? অনকেই এই তথ্য মানতে নারাজ। মৃতার পরিবারও একই কথা বলছে।
সঞ্জয় রায়
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎককে খুন ও ধর্ষণে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু কার ছত্রছায়ায় সঞ্জয়ের এই রবরবা তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কলকাতা পুলিশর দাবি
কলকাতা পুলিশ প্রথম থেকেই সঞ্জয়ের বিষয়ে বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করছে। কারণ সঞ্জয় কলকাতা পুলিশেরই সিভিক ভলান্টিয়ার। তাই দায় কিছুটা হলেও কাঁধে পড়ছে কলকাতা পুলিশের।