রাজ্যের নামী সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল আর জি করে রাতের অন্ধকারে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং হত্যার মতো নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা (Kolkata)। আর এই ঘটনার পর বারবার অভিযোগ উঠছিল যে, ঘটনার পর থেকে নাকি দেখাই পাওয়া যাচ্ছিল না অধ্যক্ষের।
উত্তাল রাজ্য। স্তম্ভিত গোটা দেশ। রাজ্যের নামী সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল আর জি করে (RG Kar Medical College & Hospital) রাতের অন্ধকারে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং হত্যার মতো নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা (Kolkata)। আর এই ঘটনার পর বারবার অভিযোগ উঠছিল যে, ঘটনার পর থেকে নাকি দেখাই পাওয়া যাচ্ছিল না অধ্যক্ষের।
কিন্তু চাপের মুখে সোমবার, সকালে অধ্যক্ষ পদ ছাড়লেন সেই বহুলচর্চিত সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় চারদিক যখন তোলপাড়, তখন সেই ঘটনার ৪ দিন পর সন্দীপ ঘোষ জানালেন, “মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তাই বাবা হিসেবে পদত্যাগ করলাম।” আর গত কয়েক বছরে এই সন্দীপ ঘোষের নাম জড়িয়ে পড়েছে একের পর এক বিতর্কের সঙ্গে।
তাঁকে ঘিরে যেন একেবারে বিতর্কের পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজেই প্রথমবার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে আসেন এই সন্দীপ ঘোষ। এর আগে তিনি দুটি মেডিক্যাল কলেজের এমএসিপি পদে ছিলেন। তিনি নিজে একজন অর্থোপেডিক সার্জেন। আর জি করের পদ পাওয়ার আগে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি পদে দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
আন্দোলনকারীদের উপর চাপ দিয়ে বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা আর জি করে? ভাইরাল কল রেকর্ডিং এবং চ্যাট
এদিকে সোমবার, স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছেন সন্দীপবাবু। গত ২০২০ সালে থেকে আরজি করের অধ্যক্ষ পদে সামলেছেন তিনি। অন্যদিকে, গত মার্চ মাসে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে এই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধেই রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত।
টেন্ডারের ক্ষেত্রে অনিয়ম এবং একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এমনকি, তাঁর নামে টালা থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। তার অনেক আগে সেই সন্দীপবাবুর বিরুদ্ধেই একবার টেন্ডার সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।
শুনলে চমকে উঠতে হয় যেন! আর জি কর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাজনিত বর্জ্য, অর্থাৎ মেডিক্যাল ওয়েস্ট কোটি কোটি টাকায় পাচার করা হত বাংলাদেশে। সন্দীপ ঘোষের আমলে এমনই সব বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেতে শুরু করেছিল আর জি কর হাসপাতালে। জানা যাচ্ছে, বর্জ্য সংগ্রহের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল।
সেই সংস্থার তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, হাসপাতাল থেকে অনেক চিকিৎসাজনিত বর্জ্য তারা খুঁজেই পাচ্ছেন না। যার মধ্যে ছিল ব্যবহৃত স্যালাইনের বোতল, তার, সিরিঞ্জ এবং গ্লাভস সহ আরও কিছু। নিজের ক্যারিয়ারে আর জি করের মতো রাজ্যের প্রথম সারির একটি সরকারি হাসপাতালে তিনি প্রথমবারই প্রিন্সিপ্যাল হন।
আর তারপর থেকে তাঁকে নাকি চেয়ার থেকে সরানোই যেত না। এমনকি, স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেও সরানো যায়নি তাঁকে। কী ছিল নেপথ্যে? যে বদলে যায় সিদ্ধান্ত?
আরও পড়ুনঃ
নীরজের ম্যাচ দেখতে দেখতে ডিনার, তারপর বিশ্রাম! আর জি কর কাণ্ডে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন
সেই রাতে তরুণী চিকিৎসককে আগে খুন করে পরে ধর্ষণ? বিস্ফোরক দাবি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।