
Election Commission of India: কাজের চাপ, সময়ের অভাব-সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত বিএলও-রা। অভিযোগ উঠছে, কেউ কেউ বেছে নিচ্ছেন আত্মহননের পথও। তবে এ বার বিএলও-দের উৎসাহ দিতে তাঁদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক বৃদ্ধির ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ২২ নভেম্বর শনিবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন ভোটকর্মী ও বিএলও ঐক্যমঞ্চের প্রতিনিধিরা। ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন, বিএলও-দের পারিশ্রমিক বেড়ে হচ্ছে ১৮ হাজার টাকা। প্রসঙ্গত, প্রথমে এই পারিশ্রমিক ধার্য ছিল ৬ হাজার টাকা। পরে তা বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়। অবশেষে এখন তা দাঁড়াল ১৮ হাজার টাকায়। অন্যদিকে, ডিজিটাইজেশনের জন্য ডেটা খরচ বাবদ টাকাও বিএলও-দের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান স্বপন।
সার্ভারের কারণে এনুমারেশন ফর্ম আপলোড করতে সমস্যা হচ্ছে। বারবার এমনই অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিএলও-রা। শনিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল জানালেন, সোমবার দুপুর একটায় রাজ্যের সব টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলে দ্রুততার সঙ্গে এই সমস্যার আশু সমাধান করা হবে। রাজ্যের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সার্ভারের জন্য বিএলও-রা এনুুমারেশন ফর্ম নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে আপলোড করতে পারছেন না। ফলে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে অনেকেই ব্যর্থ হচ্ছেন। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে। শুক্রবার ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর সঙ্গে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার পর রাজ্যের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার নির্দেশ দেন, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে অবিলম্বে রাজ্যে থাকা টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
পাশাপাশি এদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানান, আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। এই খসড়া ভোটার তালিকায় একমাত্র তাঁদেরই নাম থাকবে যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়েছেন। রাজ্যের পঞ্চায়েত, ব্লক অফিস, পৌরসভা, পুরসভা, মহকুমা শাসকের দফতর এবং জেলাশাসকের দফতরে এই তালিকা সকলের জন্য টাঙানো হবে। এর পাশাপাশি সিইও র ওয়েবসাইটেও দেখা যাবে খসড়া ভোটার তালিকা। একবারেই বুথ স্তরে প্রত্যেকের নাম প্রকাশ করা হবে। তবে এই তালিকার পাশাপাশি আরেকটি তালিকা প্রকাশ করা হবে যেখানে আরও চারটি ভাগ থাকবে। মৃত ভোটার, অনুপস্থিত ভোটার, ভুয়ো ভোটার এবং স্থানান্তরিত ভোটারের নামের তালিকা। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই এই তালিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন সকলে। তবে এই তালিকা চূড়ান্ত নয়। এই তালিকায় যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে, নামের বানান ভুল আছে, ঠিকানা ভুল আছে সেই সব কিছু সংশোধন যেমন করা যাবে ঠিক তেমনই যদি কেউ চান নতুনভাবে নাম এই ভোটার তালিকায় তুলতে চান, তাহলে তাঁকে ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করে আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ পাবে ৭ ফেব্রুয়ারি। এই ভোটার তালিকাতেই আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হবে পশ্চিমবঙ্গে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।