কড়া সিদ্ধান্ত এবার আরজি করে। দীর্ঘ বৈঠকের পর, কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল থেকে বহিষ্কৃত হলেন ১০ জন চিকিৎসক।
কড়া সিদ্ধান্ত এবার আরজি করে। দীর্ঘ বৈঠকের পর, কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল থেকে বহিষ্কৃত হলেন ১০ জন চিকিৎসক।
সেই ১০ জনের বিরুদ্ধে র্যাগিং সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এবার তাই কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওই চিকিৎসকদের আজীবনের মতো হোস্টেল থেকেও বহিষ্কার করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি, তাদের বাড়িতেও পাঠানো হবে অভিযোগপত্র।
আরজি করের প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনে শনিবার, দুপুর থেকেই শুরু হয়ে যায় কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষ, ডাক্তার এবং ইন্টার্নদের প্রতিনিধিরাও। ওদিকে বাইরে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা।
তাদের দাবি ছিল, হাসপাতালে হুমকি সংস্কৃতিতে অভিযুক্ত ৫৯ জনকে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। এরপরেই বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল কাউন্সিল। জানানো হল, মোট ১০ জন চিকিৎসককে আরজি কর থেকে অবিলম্বে বহিষ্কার করা হবে। তাছাড়া বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।
সমস্ত অভিযুক্তদের নামের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে আরজি করে হুমকি এবং ভয়ের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও অভিযোগ, ওই চিকিৎসকদের মধ্যে অনেকেই নাকি হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পড়ুয়ারা কেউ তাদের কথা না মানলে, পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হত।
এমনকি, তিনটের সময় হোস্টেলের ঘরে ডেকে চলত শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চলত। এছাড়াও, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে বাধ্য করা হত ছাত্রদের। জানা যাচ্ছে, মিটিং-মিছিলে না এলে চলত হেনস্থা। তাছাড়া হোস্টেলেও নির্বিচারে চলত র্যাগিং।
কখনও আবার গভীর রাতে মদ আনতে পাঠানো হত জুনিয়রদের। এরপর কমন রুমে সিনিয়রদের নানারকম অঙ্গভঙ্গি করে দেখাতে হত। রাজি না হলে চলত বাবা-মা তুলে গালিগালাজ। এমন নানা অভিযোগের ভিত্তিতে, ওই ৫৯ জনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযু্ক্তদের মধ্যে ৪৩ জনকে ইতিমধ্যেই হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।