জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনশন মঞ্চে থাকবে সিসিটিভি। আন্দোলনের স্বচ্ছতার জন্যই এই ব্যবস্থা। তবে তারা জানিয়েছেন আমরণ অনশনে প্রথম দফায় আরজি কর হাসপতালের কোনও চিকিৎসক থাকছেন না।
আরজি কর আন্দোলন এবার পৌঁছে গেল অনশন। সরকার তাদের দাবি মানেনি। তাই অনশনের পথেই যেতে হচ্ছে তাঁদের। আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার ধর্মতলার ধর্নামঞ্চ থেকেই আমরণ অনশনের ঘোষণা করল জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রথম দফায় ৬ জুনিয়র ডাক্তার অনশনে বসবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবারই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রয়েছে সরকার যদি তাদের দাবি না মানে তাহলে তাঁরা অনশন শুরু করবে। এদিন সাড়ে আটটায় তাদের দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়ে যায়, তারপরই তাঁরা অনশনে বসার কথা বলেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনশন মঞ্চে থাকবে সিসিটিভি। আন্দোলনের স্বচ্ছতার জন্যই এই ব্যবস্থা। তবে তারা জানিয়েছেন আমরণ অনশনে প্রথম দফায় আরজি কর হাসপতালের কোনও চিকিৎসক থাকছেন না। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাদের সঙ্গে ইগোর লড়াই চলছে। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, ধর্মতলায় তাদের ধর্নামঞ্চ তৈরিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মঞ্চ তৈরি করতে দেওয়া হয়নি, মঞ্চের জন্য খাট আনতে দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের।
জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, দাবি পুরণ না হলে বা মৃত্যু না হলে অনশন চলবে। যারা অনশনে বলেছেন, তারা প্রবল আত্মবিশ্বাসী। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, সরকার আলোচনার জন্য কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করেনি। ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারমধ্যে তাদের শুধু হুমকি দেওয়া হয়েছে। সিবিআই-এর ওপর সম্পূর্ণ আস্থা নেই বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। তাদের কথায় আদালতে যে তদন্ত হচ্ছে তাতে স্পষ্ট নয় ঠিক কোনও পর্যায় রয়েছে তদন্ত। জয়নগরের নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা বলেছেন, কেউ কোথাও সুরক্ষিত নয়। তাঁদের একটি প্রতিনিধি দল জয়নগরে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে বলেও জানিয়েছেন। ঘটনা যথেষ্ট মর্মস্পর্শী বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।