আরজি করে থ্রেট সিন্ডিকেট নিয়ে এবার রিপোর্ট পেশ করল তদন্ত কমিটি। ইতিমধ্যেই সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশ করেছে।
আরজি করে থ্রেট সিন্ডিকেট নিয়ে এবার রিপোর্ট পেশ করল তদন্ত কমিটি। ইতিমধ্যেই সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশ করেছে।
সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, অভিযুক্তদের মুখ থেকে একাধিক বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির কথা। জানা যাচ্ছে, মোট ৫৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। যাদের মধ্যে, ৪-৫ জনকে বাদ দিয়ে বাকি সকলেই দোষী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এখন এই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই কলেজ কাউন্সিলের সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কমিটির বিচারে এই থ্রেট সিন্ডিকেট নিয়ে অভিযোগে যারা দোষী প্রমাণিত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শনিবারই বৈঠকে বসছেন কলেজ কাউন্সিলের সদস্যরা। আর এই বৈঠকের পরই নোটিফিকেশন জারি করা হবে প্রিন্সিপালের তরফ থেকে। এমনটাই জানা যাচ্ছে আপাতত।
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। তার মাঝে অবশ্য কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তারা। এরপর সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার এবং নার্সদের উপর হামলার প্রতিবাদে ফের শুরু হয় কর্মবিরতি।
শুক্রবার, সেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনকারীরা, যদিও রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি তাদের দাবিগুলি মানা না হয়, তাহলে তারা নিজেদের জীবনকে বাজি রাখবেন। সেই মঞ্চ থেকেই আমরণ অনশনের দিকে এগিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
এদিকে পুলিশের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও, ধর্মতলাতে ডাক্তারদের জমায়েত করার ঘটনায় মামলা রুজু করল পুলিশ। বেআইনি জমায়ত এবং কর্তব্যরত পুলিস অফিসারেরর নির্দেশ অমান্যের অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে শুক্রবার থেকে ধর্মতলাতে অবস্থান শুরু করেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। পুলিশের দাবি, অবস্থানের জন্য অনুমতি চেয়ে পুলিশকে ইমেইল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু পালটা মেইল করে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় যে, পুজোর সময় প্রচুর মানুষ শপিং করতে আসছেন। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। তাই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মেট্রো চ্যানেলে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।