'ওঁরা কি মাওবাদী?', দু'পক্ষের সাওয়াল জবাবের পর জামিন মঞ্জুর অরুণিমা-সহ ৩০ জনের

বৃহস্পতিবার ব্যঙ্কশাল কোর্টে ওই চাকরিপ্রার্থী-সহ গ্রেফতার হওয়া ৩০ জনকে পেশ করা হয়। দু'পক্ষের সাওয়াল জবাবে উত্তাল হয়ে ওঠে আদালত কক্ষ। অবশেষে জামিন মেলে অরুণিমা-সহ বাকিদের।

Web Desk - ANB | Published : Nov 10, 2022 3:28 PM IST

চাকরি চেয়ে জুটেছিল পুলিশের কামড়। আবার গ্রেফতার করা হল আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থীকেই। অবশেষে পুলিশের যুক্তি উড়িয়ে জামিন পেলেন অরুণিমা-সহ ৩০ জন। এখন আইনজীবীর প্রশ্ন 'যারা আক্রন্ত হয়েছে তাঁদেরই হাজতবাস! এরা কী মাওবাদী? গতকাল এক্সাইড মোড় হোক বা ক্যামাক স্ট্রিট, কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল শহরের একাধিক জায়গা। বচসা চলাকালীন এক আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতারও করা হয় আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থীকে। বৃহস্পতিবার ব্যঙ্কশাল কোর্টে ওই চাকরিপ্রার্থী-সহ গ্রেফতার হওয়া ৩০ জনকে পেশ করা হয়। দু'পক্ষের সাওয়াল জবাবে উত্তাল হয়ে ওঠে আদালত কক্ষ। অবশেষে জামিন মেলে অরুণিমা-সহ বাকিদের।

আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী প্রশ্ন করেন,'সংগঠনকে চিহ্নিত করতে বলা হচ্ছে, পুলিশ যাদের হেফাজতে নিতে চাইছে তাঁরা কি মাওবাদী?' তিনি আরও বলেন,'শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের কামড়। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভকারীদের মাথা ফেটেছে, হেনস্থা করা হয়েছে। অথচ মেডিক্যাল রিপোর্টে পুলিশের নাম নেই।' পুলিশের পক্ষের আইনজীবীর পালটা সাওয়াল, 'শিক্ষকরা শিক্ষকদের মতো আচরণ করুন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আক্রমনাত্মক হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। তাই তাঁদের সরাতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।' দু'পক্ষের সাওয়াল জবাব শেষে ধোপে টেকেনি পুলিশের সাওয়াল। অরুণিমা-সহ ৩০ জনেরই জামিন মঞ্জুর করল আদালত।

নিয়োগ চেয়ে বুধবার ফের পথে নেমেছিল ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভে আরও একবার উত্তাল হয় তিল্লোত্তমা। রাজপথে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের মাঝেই বড় অভিযোগ। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সরানোর নাম করে তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকি এক আন্দোলনকারীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠল এক মহিলা পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে টানা হেঁচড়া চালানোর অভিযোগও ওঠে।

বুধবার একদিকে ধর্মতলা থেকে এক্সাইড চত্বরে চলছিল চাক্কা জ্যাম। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান আর একদল আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী। বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়ন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনি। আন্দোলকারীদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় এক আন্দোলনকারীর হাতে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক মহিলা পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী অবশ্য গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীদের কেবল সরানোর চেষ্টা হয়েছিল।

 

আরও পড়ুন - 

‘উত্তরপ্রদেশ কিংবা দিল্লির হিংসায় এনআইএ দরকার, মোমিনপুরে কেন?’ কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ফিরহাদ হাকিমের তোপ

দু'সপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে, ২০০৯ সালের প্রাথমিক চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর দিল কলকাতা হাই কোর্ট

আপাত নিষিদ্ধ হস্টেলে ঢোকা, অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াকে র‌্যাগিং-এর ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ

Share this article
click me!