সংক্ষিপ্ত

নিয়োগের দাবিতে গত ৩৭ দিন ধরে ধর্নায় বসেছিলেন ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি ২০০৯ সাল থেকে বঞ্চিত তাঁরা। এবার তাঁদের মামলার দ্রুত শুনানি হোক এবং রাজ্য সরকার বিষয়টিতে নজর দিক।

অবশেষে সুখবর ২০০৯ সালের প্রাথমিক চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যেই ২০০৯ সালের প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার ২০০৯ সাল থেকে বঞ্চিত প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের এবার নিয়োগের আশ্বাস দিল কলকাতা হাই কোর্ট। দু'সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতা-সহ উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ এবং হাওড়ার মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ২০০৯ সালের প্রার্থীদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত সোমবারই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

নিয়োগের দাবিতে গত ৩৭ দিন ধরে ধর্নায় বসেছিলেন ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি ২০০৯ সাল থেকে বঞ্চিত তাঁরা। এবার তাঁদের মামলার দ্রুত শুনানি হোক এবং রাজ্য সরকার বিষয়টিতে নজর দিক। এই মর্মে সোমবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখাও করেন তাঁরা। কুণাল ঘোষ বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়ে বলেন, 'বাম আমলে ব্যপক দুর্নীতি হয়েছিল। কোনও একটি মহল থেকে জোর করে এই নিয়োগ আটকে রাখা হয়েছে। যে ভাবে বিষয়টা আটকে রাখা হয়েছে সেটা দ্রুত ঠিক করা হোক। আমি ওঁদের পাশে আছি। আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে আশা করছি জট কাটবে।' 

অন্যদিকে নিয়োগের দাবিতে দু'মাসের বেশ সময় ধরে পথে ২০১৪, ২০১৭ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। ৯ নভেম্বর নিয়োগের দাবিতে ফের একবার পথে নামেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা। বেলা বাড়তেই কলকাতার ধর্মতলা, রবীন্দ্র সদন চত্বরে জমা হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। শুরু হয় চাক্কা জ্যাম। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। পুলিশের প্রিজন ভ্যানের চাকার তলায় শুয়ে পড়েন বেশ কিছু চাকরি প্রার্থী। তাঁদের মুখে শুধু একটাই কথা, 'হয় নিয়োগ, নাহলে মৃত্যু।' কার্য রণক্ষেত্রের রূপ নেয় বুধবার দুপুরের কলকাতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন, কলকাতা পুলিশর ডিসি সাউথ আকাশ মাঘেরিয়া।

প্রসঙ্গত, এর আগেও নিয়োগের দাবিতে গত করুণাময়ীতে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। মঙ্গলবাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আচমকাই বলপূর্বক বিক্ষোভকারীদের তুলে দেয় পুলিশ। কার্যত জোড় করেই টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় চাকরীপ্রার্থীদের। ১৫ মিনিটের মধ্যে তুলে দেওয়া হয় ৮৪ ঘন্টার আন্দোলন। ঘটনা ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বৃহস্পতিবার রাতের করুণাময়ী। তবে পুলিশি ধরপাকড়ের সামনে মাথা নোয়ায়েনি আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার সকালে ফের করুণাময়ীতে নতুন করে জমায়েত করে বিক্ষোভকারীদের একাংশ।

আরও পড়ুন - 

চাকরিপ্রার্থীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শিয়ালদহ স্টেশনে, নিয়োগের দাবিতে দফায় দফায় উত্তপ্ত কলকাতা

বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দিতে চাকরিপ্রার্থীকে কামড়! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মহিলা পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে

'হয় চাকরি, না হয় মৃত্যু', টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে রণক্ষেত্র ধর্মতলা থেকে এক্সাইড মোড়