শাড়িতেও ফিট নারী: শাড়ি পরেও যে দৌঁড়ানো যায় তা দেখিয়ে দিল তিলোত্তমা - দেখুন ছবিতে

একটা সময় ছিল যখন এই দেশের মহিলা, ঝাঁসীর রানি লক্ষ্মীবাই থেকে শুরু করে মাতঙ্গিনী হাজরা সকলেই শাড়ি পরেই ব্রটিশ রাজের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। কিন্তু হালফিলে আধুনিক মহিলাদের মধ্যে শাড়ির তেমন চল নেই। কিন্তু এদিন তিলোত্তমা সেই দাবিও খারিজ করে দিল। 
 

রবিবারে সকালের কলকাতা দেখিয়ে দিল শাড়িতেও ফিট নারী। তারা শাড়ি পরে ছুটতে পারে। হাঁটতে পারে। সমস্যা হল কোমর বেঁধে কাজে নিজেদের ফিট রাখতে পারে। 
 

শাড়ি পরা মহিলারা খুব ভোরে সল্টলেক স্টেডিয়ামে একত্রিত হয়েছিল কেবল কলকাতা থেকে নয়, বেলুড়, হাওড়া, বেহালা, নামখানা এবং অন্যান্য জেলাগুলির মতো দূরবর্তী স্থান থেকেও।
 

৪৩০০ জন মহিলা শাড়ি পরে যেন ফিটনেশ সার্টিফিকেট নিয়ে দাঁপিয়ে বেড়ালেন সল্টলেকের রাস্তায়। অভিনব এই মিছিলেন স্লোগান ছিল একজন ফিট মানুষ একজন ফিট মানুষ,  একজন ফিট মহিলা হল একটি ফিট পরিবার!
 

বিভিন্ন কারণে, মহিলাদের ফিটনেস এখনও ভারতে একটি অগ্রাধিকার নয় এবং একটি বিশাল সংখ্যক মহিলা এখনও পোশাক সম্পর্কে সামাজিক চাপের কাছে নত হয়ে ফিটনেস থেকে দূরে সরে যায়। মহিলাদের মধ্যে সাধারণ ধারণা হল ফিটনেস শুধুমাত্র বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কয়েকজনের জন্য যারা ইচ্ছেমত  পোশাক পরতে পারেন

ফিটনেসের জন্য নির্দিষ্ট পোশাকের প্রয়োজন যে আখ্যানটি পরিবর্তন করার জন্য শাড়ি রান একটি প্রচেষ্টা। ফিটনেসে কোনো বাধা ছাড়াই সহজ হওয়া উচিত।
 

শাড়ি দৌড়ের উদ্দেশ্য হল স্টিরিওটাইপিক্যাল চিন্তা প্রক্রিয়াকে ভেঙে ফেলা।  কারণ আমরা বিশ্বাস করি মহিলাদের ফিটনেসের জন্য গুরুতর উৎসাহের প্রয়োজন! পোষাকের নয়। শাড়ি পরেও ফিটনেশ ক্রিয়াকলাপগুলি করা যায়। শাড়ি কোনও বিশেষ পোষাক নয়। এটি সকলেই সমানভাবে ব্যবহার করতে পারে। 
 

এই ইভেন্টটি ব্যাঙ্গালুরুর ফিটনেস কোম্পানি, JJAactive র উদ্যোগে হয়েছিল।  যাদের সারা ভারতে তাদের ফিটনেস সেন্টার রয়েছে। গত ৭ বছর ধরে ব্যাঙ্গালুরুতে এজাতীয় ইভেন্ট হয়েছে। এবার কলকাতাতেও হল।

মা ও মেয়ে জুটি, বন্ধুদের দল, শাশুড়ি ও পুত্রবধূর জুটি, পরিবারের সদস্যদের দল, তিন প্রজন্মের মহিলা মা, মেয়ে, নাতনিকে আজ রবিবার সকালে নিজেদের মত করে নিজেরা উপভোগ করলেন। তাঁদের এই আনন্দ আগামী দিনে আরও মহিলাদের শাড়ি পরেই ফিটনেসের ওপর জোর দিতে প্রভাবিত করবে। 
 

এদিন এক অভিনব ছবি ধরা পড়ল। মা আর মেয়ে একই সঙ্গে শাড়ি পরে হাঁটল। কেউ আবার এসেছিল নাতনিকে নিয়ে। ঠাকুমা বা দিদিমার সঙ্গে তন্বী নাতনিও দৌড় লাগাল। 
 

কেউ আবার এসেছিলেন সদ্যোজাতকে নিয়ে। যা রীতিমত নজর কেড়েছে।  মাকে তো ফিট থাকতেই হবে সন্তানের জন্য । কারণ হোমমেকার যদি ফিট না থাকে তাহলে কি চলে

শাড়ি পরে একসঙ্গে দৌঁড়ে রীতিমত তাক লাগালেন শাশুড়ি বৌমা। এদিন আর শাসবহু নন তাঁর - ফিটনেস সঙ্গী। 
 

ফিটনেট আধুনিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। তাই এগিয়ে আসতে হবে মেয়েদেরও 
 

বেঙ্গালুরুর এই সংস্থা যেন সেই পথই দেখিয়ে দিল।

শাড়ি পরা মহিলারা জ়ড়ো হয়েছিলেন সকাল ৬টার সময়।  অনুষ্ঠান রীতিমত নজর কেড়েছে সকলের। 
 

শাড়ি পরা মহিলাদের নিয়ে রীতিমত সাজসাজ রব ছিল গোটা এলাকা জুড়ে। 
 

এদিন কলকাতা দেখিয়ে দিল ফিট থাকার জন্য বিশেষ ড্রেসের প্রয়োজন নেই। শাড়িই কাফি
 

রংবেরঙের শাড়িতে রীতিমত নজর কেড়েছেন মহিলারা। 
 

আধুনিক শাড়ির পাশাপাশি অনেকেই আবার ট্র্যাডিশনাল শাড়িও পরেন। 
 

সবমিলিয়ে অনুষ্ঠানটি ছিল রীতিমত নজরকাড়া। 
 

শাড়ির মাধ্যমে ফিটনেস এক ছাদের তলায় নিয়ে এসেছে নানান বয়সী, নানান ধারার মহিলাকে।