চলতি মাসের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকেই বসবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যাম্প। আপনি যদি কোনও সরকারি সুবিধা নিতে চান তবে অবশ্যই এই ক্যাম্পগুলিতে গিয় প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারেন।
রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায় নানা ধরনের প্রকল্প চালু করেছেন। যার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, বার্ধক্য ভাতা, রূপশ্রী এগুলি অন্যতম। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় সাধারন মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা এবং তপশিলি বা উপজাতির মহিলারা ১২০০ টাকা পেয়ে থাকেন।
মমতা সরকারের প্রকল্পের এই সুবিধাগুলি পেতে পাড়ায় পাড়ায় ক্যাম্পের চালু করেন। এই ফলে যারা সরকারি অফিসগুলিতে পৌঁছে নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ করাতে পারেন না বা সময় হয় না। সেই সব কাজ যাতে এলাকায় থেকেই করিয়ে জনসাধারণকে পরিষেবা দেওয়া যায়, সেই কারণেই বছরের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রতিটি এলাকায় দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসানো হয় জনসাধারণের জন্য।
এই ক্যাম্প থেকে আপনি প্রয়োজনীয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, ঐক্যশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, শিক্ষাশ্রী, কৃষকবন্ধু, তপশিলি বন্ধু, জয় জোহার, প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড-সহ আরও যে সমস্ত রাজ্য সরকারের সুবিধা আছে ইত্যাদি নানান কাজ করতে পারেন।
এই ক্যাম্প থেকে আপনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতা অথবা স্বাস্থ্যসাথী এই সব রকম পরিষেবা সরকারি নথি জমা দিয়ে করে নেওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বছর কবে বসবে এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। চলতি মাসের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকেই বসবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যাম্প। আপনি যদি কোনও সরকারি সুবিধা নিতে চান তবে অবশ্যই এই ক্যাম্পগুলিতে গিয় প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারেন।
সেই সঙ্গে মমতা সরকার জানিয়েছেন দুয়ারে সরকার প্রকল্প থেকে এই সুবিধা পেতে বা নতুন করে লক্ষ্মীর ভান্ডারে নাম তুলতে উল্লেখিত নথি না থাকলে লক্ষ্মীর ভান্ডারে আবেদন করা যাবে না। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও রেশন কার্ড না থাকলে লক্ষ্মীর ভান্ডার-সহ দুয়ারে সরকারের কোনও প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না।