
হালতুতে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। নিছকই আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবে দেখতে নারাজ পুলিশ। আর সেই কারণেই আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ায় নিহতের দুই আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত সোমনাথ রায়ের শ্বশুর ও শ্যালকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে দুই আত্মীয়কে।
সোমনার রায় ও তাঁর পরিবারের মৃত্যুর ঘটনায় সোমনাথের মামা প্রদীপকুমার ঘোষাল ও নীলিমা ঘোষালকে গ্রেফতার করেছে কসবা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোমনাথের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি সুইসাইড নোট। সেখানেই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কথা ছিল। তাই থেকেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মামা ও মামিকে থানায় আটক করে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। কসবা থানায় দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন সোমনাথের স্ত্রী সুমিত্রার দিদি সুপর্ণা ভৌমিক। তিনি সোমনাথের মামা প্রদীপ, মামি নীলিমার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। দ্বিতীয়টি করেন সুমিত্রার বাবা বিশ্বনাথ ভৌমিক। তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার সকালে একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার। হালতুর একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের তিন সদস্যকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতরা সম্পর্কে হলেন, স্বামী, স্ত্রী ও তাঁদের আড়াই বছরের সন্তান। পুলিশ জানিয়েছেন হালতুর পূর্বপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতরা হলেন ৪০ বছরের সোমনাথ রায়। তিনি পেশায় অটো চালক। তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা (৩৫)। মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের আড়াই বছরের পুত্র রুদ্রলীনকেও। মঙ্গলবার বাড়ির একটি ঘর থেকে তিন জনের ঝলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ট্যাংরাকাণ্ডের পর এবার হালতুতে একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে শহরে। ট্যাংরাকাণ্ডে আত্মহত্যার থেকেও জোরালো হচ্ছে খুনের তত্ত্ব। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রসূন দে। তদন্তে পুলিশের অনুমান প্রসূনই পরিবারের তিন সদস্যকে খুন করেছে। প্রতীপও খুনের চেষ্টা সে করেছিল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।