প্রেসিডেন্সিতে সরস্বতী পুজোকে সমর্থন করছেন না টিএমসিপিরই শীর্ষ নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের বিরোধী বলেও উল্লেখ করলেন তিনি

সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে প্রেসিডেন্সিতে কর্তৃপক্ষ বনাম ছাত্রপরিষদ বিতণ্ডা। শিক্ষাক্ষেত্রে পুজো নিয়ে আপত্তি জানায় কর্তৃপক্ষ।

Web Desk - ANB | Published : Jan 22, 2023 2:41 PM IST

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে কতৃপক্ষ বনাম তৃণমূল ছাত্রপরিষদের বিতণ্ডা চলছিলই। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সম্পাদক সুপ্রিয় চন্দ। যদিও এই প্রসঙ্গে উলটো সুরই শোনা গেল পিইউটিএমসিপি নেতার মুখে। শিক্ষাঙ্গনে পুজো করার বিষয় কর্তৃপক্ষের সমর্থনেই সুর চড়ালেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রসঙ্গে একটি পোস্টও করেন তিনি। বিশিষ্ট এক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন পুজো করার এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের সঙ্গে যায় না। এই মর্মে টুইটারে একটি পোস্ট করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উদ্ধৃতি ব্যবহার করে তিনি লিখেছেন, 'হঠাৎ সেখানে প্রতিমা পূজা করার জন্য জিদ অশোভন'।

সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে প্রেসিডেন্সিতে কর্তৃপক্ষ বনাম ছাত্রপরিষদ বিতণ্ডা। শিক্ষাক্ষেত্রে পুজো নিয়ে আপত্তি জানায় কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের স্পষ্ট বার্তা।'পুজো কেউ আটকাতে পারবে না।' ছাত্রছাত্রীদের একাংশও এই পুজোর বিরোধীতা করছে বলে জানা যাচ্ছে তাঁদের বক্তব্য তৃণমূল বিশ্ববিদ্যালয় অযথা রাজনীতি করছে। ধর্মকে ধোকানোর চেষ্টা করছে। এই মোনোভাব কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

উল্লেখ্য প্রেসিডেন্সির দীর্ঘ ইতিহাতে আজ পর্যন্ত সরস্বতী পুজো হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনওভাবেঅ ধর্মকে স্থান দিতে চায়নি কর্তৃপক্ষ। শিক্ষাঙ্গনকে বারবার ধর্মনিরপেক্ষই রাখতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এবছত প্রেসিডেন্সিতে দেখা গেল অন্য চিত্র। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাঁদের বক্তব্য কর্তৃপক্ষ ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ বোঝে না। তা নাহলে পুজোয় বাধা দিতেন না। সম্প্রতি এই মর্মে ফেসবুকে একটি পোস্টও করা হয় ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে। সেই পোস্টে লেখা হয়েছে,'সংবিধানে বলা আছে, ধর্মনিরপেক্ষতা একটি অত্যন্ত ইতিবাচক বিষয়। ধর্মনিরপেক্ষ তাকেই বলা হয়, যেখানে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ নিজের মতো আচার-অনুষ্ঠান-উৎসব পালন করতে পারবেন। কোথাও বলা নেই কোনও মানুষ তাঁর নিজস্ব ধর্মীয় আচরণ পালন করতে পারবে না।'

Share this article
click me!