লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সৃজনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করার পাশাপাশি, তাঁর পতাকা ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
মঙ্গলবার পঞ্চসায়রের শহিদ স্মৃতি কলোনি এলাকায় প্রচারে বের হন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। সেই সময়ই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। সৃজনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করার পাশাপাশি, তাঁর পতাকা ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, গত রাতে নাকতলায় সিপিএম-এর হোর্ডিং ফ্লেক্সও ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সিসিটিভি ফুটেজে রাত আড়াইটে নাগাত ৩ জনকে দেখা গিয়েছে বলে দাবি বাম কর্মী সমর্থকদের। ঘটনায় সিপিএম-এর দাবি, প্রতিপক্ষ ভয় পেয়েই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন নাকতলা এলাকার বাম নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলেও বাম নেতৃত্ব জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুব্রত দত্ত বলেন, ‘‘দিনের বেলা তৃণমূলের মুখ দেখানোর সাহস নেই। তাই রাতের অন্ধকারে আমাদের প্রার্থীর ফ্লেক্স, হোর্ডিং ছিঁড়েছে। কিন্তু এ সব করে মানুষকে ১ জুন সিপিএম প্রার্থীকে ভোট দেওয়া থেকে আটকাতে পারবে না তৃণমূল।’’
তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীদের টক্কর দিতে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বাম প্রার্থীরাও। আগামী ১ তারিখ শেষ দফার নির্বানে ভোটগ্রহণ রয়েছে দমদম ও যাদবপুর কেন্দ্রে। তার আগেই দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে বাম প্রার্থীদের।
যদিও এই ভাবে বামেদের আটকানো যাবে না বলেই দাবি করেছেন সৃজন। একইসঙ্গে যাদবপুরে তাঁরাই জিতবেন বলেও দাবি বাম প্রার্থীর। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে সিপিএম। সিপিএমের দাবি, লোকসভায় ‘হেরে যাওয়ার ভয়ে’ বাম প্রার্থীকে বাধা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার দমদম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত খড়দায় প্রচার কর্মসূচি চলানোর সময় 'গো ব্যাক' স্লোগানের মুখে পড়েন সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীও। যার জেরে খড়দা থানার সামনে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।