ভিনরাজ্যে শ্রমিক হেনস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেয়ার করা ভিডিয়োকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে দিল্লি পুলিশ। এবার দিল্লি পুলিশের দাবিতে নস্যাৎ করে ফের পাল্টা চ্য়ালেঞ্জ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মঙ্গলবার ইলামবাজারের সভা থেকে দিল্লি পুলিশকে ফের চ্যালেঞ্জ মমতার। রাজধানী দিল্লিতে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক হেনস্থা ইস্যুতে ফের আওয়াজ তুললেন তিনি।
26
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
মঙ্গলবারের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘’আমি সোমবার ওই বাচ্চাটার কথা বলেছিলাম। একটার পর একটা থানায় ওদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি কালকেই মিটিংয়ে বলেছিলাম। রেকর্ড চেক করুন। বলেছিলাম ওদের থ্রেট করা হবে। হয়েছে সেটাই। আমরা চাইব, তাঁরা যাতে ফিরে আসেন। আর কে সত্যি, কে মিথ্যা তা প্রমাণ হয়ে যাবে।'' যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত দিল্লি পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
36
বাঙালিদের উপর আক্রমণ নিয়ে সরব তৃণমূল
পড়শি রাজ্য়ে বাঙালিদের হেনস্থা, বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দাগিয়ে দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যা নিয়ে এদিন তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, ওই ভিডিয়োতে থাকা মহিলার পরিচয় জেনে তাঁর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই মহিলা জানান, ২৬ জুলাই রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সাদা পোশাকে দিল্লি পুলিশের চার জন কর্মী তাঁদের বাড়িতে আসেন এবং তাঁদের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরে তাঁদের থেকে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন ওই পুলিশকর্মীরা। মারধরও করা হয়। যদিও এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের অবশ্য দাবি, মহিলার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বাংলাভাষী এক নারী ও তার সন্তানের উপর হামলার একটি ভুয়ো ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগ করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন যে ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর এবং অনুপযুক্ত।
56
দিল্লি পুলিশের দাবি কী ছিল?
এর আগে সোমবার, দিল্লি পুলিশ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাভাষী এক নারী ও তার সন্তানের উপর দিল্লি পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারা হামলার অভিযোগ খারিজ করে ভাইরাল ভিডিওটিকে "ভুয়ো" এবং "ভিত্তিহীন" বলে অভিহিত করে।
66
পুলিশের অভিযোগ ওড়ালেন মমতা
পূর্ব দিল্লির পুলিশের উপ-কমিশনার অভিষেক ধানিয়া বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী 'এক্স'-এ পোস্ট করেছেন যে বাংলাভাষী এক নারী ও তার সন্তানের উপর দিল্লি পুলিশ কর্মকর্তারা হামলা করেছেন। তথ্য পাওয়ার পরপরই আমরা তদন্ত শুরু করি এবং জানতে পারি যে মহিলার নাম সানজানু পারভীন... জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি বলেন যে ২৬ জুলাই রাত সাড়ে দশটার দিকে সাধারণ পোশাকে থাকা চার পুলিশ সদস্য তাদের বাড়িতে এসে তাদেরকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাদের মারধর করে এবং তাদের কাছ থেকে ২৫,০০০ টাকা দাবি করে, যা তারা তাদেরকে দেয়।"