Firhad Hakim On SIR: এসআইআর আবহের শেষ পর্বেও গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কী বলেছেন তিনি? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
ভোটার তালিকা নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে এবার একযোগে বাম ও গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘’যারা জিরো হয়ে গেছে তারা এবার বাহানা খুঁজছে। একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের জন্য ভোট অধিকার রক্ষার লড়াই লড়ছে। মৃত ভোটার নয়, ফলস ভোটার নয়, বাংলার মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার আছে। সে ভোট দেবে। এসআইআর এর নাম করে বাংলার মানুষের ভোট কাটা চলবে না। তৃণমূলকে সরানোর জন্য সিপিএম বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তার নিজের ভোট কমিয়ে বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে। কিন্তু বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস এবং দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা করে।''
25
কী বললেন ফিরহাদ হাকিম?
‘’বাংলার মানুষের ভোট রক্ষার লড়াই আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়ছি। এবং লড়বো। বাংলার একজনও প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ দিতে দেব না। ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমরা দিন রাত এক করে ভোট রক্ষার জন্য ঘুরছি। যাতে প্রকৃত ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়।''
35
কেন্দ্রকে কটাক্ষ ফিরহাদের
ফর্ম যাতে ঠিকঠাক সবাই পায়। ফর্ম পূরণ যাতে ঠিকঠাক হয়। ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্রত্যেক কর্মীকে। বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নির্বাচন কমিশনকে হরণ করতে দেব না। শুভেন্দুর ভুয়ো ভোটার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিম বলেন, নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। এরা জানে যে এরা হেরে বসে গেছে। বাংলার মানুষ এদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর আগে ২০২১ এও করেছে। আগামী ২০২৬ এও করবে। তাই এখন থেকে বাহানা খুঁজছে। নাহলে দিল্লির বসেরা টিকি টেনে ধরবে। তাই এখন থেকে ওরা বাহানা খুঁজছে।
অন্যদিতে মঙ্গলবারই এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যে মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকেই আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বলেন, 'এঁদের প্রত্যেকের পরিবার ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবে।' রাজ্যে SIR আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন ১৩ জন। এঁদের মধ্যে কাজের চাপে অসুস্ছ হয়ে পড়া বিএলও-র সংখ্যা ৩ । এই ১৩ জনকেই ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
55
এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যে মৃত্যু
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে কাজের চাপে চার জন বিএলও -র মৃত্যু হয়েছে। সেই ৪ জনের মধ্যে ইতিমধ্যেই ২ জনের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়েছে সরকার।পশ্চিমবঙ্গে SIR শুরু হয়েছিল ২৮ অক্টোবর। প্রথম দিনেই আতঙ্কে আত্মহত্যা করেন প্রদীপ কর নামে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের বাসিন্দা। তারপরই এনুমারেশন ফর্ম বিলি, পুরণ আর জমা নেওয়ার মধ্যে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর এদের মধ্যে অর্ধেকই আত্মহত্যা করেছেন। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বা ব্রেন স্ট্রোকে।