
Smart meter News: রাজ্যের বেশ কিছু এলাকার জনবসতিতে শুরু হয়েছিল স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ। কিন্তু জনতার মধ্যে নানাবিধ প্রশ্ন এবং বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। কোথাও কোথাও আন্দোলনও শুরু হয়েছিল। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে গত জুন মাসে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর জানিয়ে দিয়েছিল, আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ। সে কাজ এখনও শুরু হয়নি।
স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ বন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ হলো গ্রাহকদের বিরোধিতা। কারণ তারা মনে করছেন এর ফলে বিদ্যুতের বিল বেড়ে যাবে এবং এটি তাদের আর্থিক সামর্থ্যের বাইরে। এছাড়া, নির্দেশিকা ছাড়া মিটার পরিবর্তনের অভিযোগ, গোপনীয়তা সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং স্মার্ট মিটার ব্যবহারের প্রক্রিয়া নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ভুল ধারণা ও সংশয় ছিল। এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এবং বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদের জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
** স্মার্ট মিটার কী?
এটি একটি ‘ইলেকট্রনিক ডিভাইস’। যা সাধারণ মিটারের মতোই বিদ্যুৎ খরচের পরিমাপ করে। এটির বিশেষত্ব হল, এই মিটার বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ও গ্রাহকদের কাছে ‘রিয়্যাল টাইম’ তথ্য পাঠায়। অর্থাৎ, স্মার্ট মিটার থেকে মানবসম্পদ খরচ করে তথ্যসংগ্রহের কোনও প্রয়োজন হয় না। মানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মীদের মিটার দেখে কত বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে, তার হিসাব করার দরকার হয় না।
* বিস্তারিত আলোচনা:
১) গ্রাহকদের অসন্তোষ এবং প্রতিবাদ: অনেক গ্রাহক মনে করছেন যে স্মার্ট মিটার বসানোর ফলে তাদের বিদ্যুতের বিল বেড়ে যাচ্ছে। তাদের আরও অভিযোগ ছিল যে, নতুন মিটারটি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা তাদের ঠিকভাবে জানানো হয়নি এবং নির্দেশিকা ছাড়াই বাড়িতে পুরনো মিটার পরিবর্তন করা হয়েছে। এই কারণে বিভিন্ন জায়গায় গ্রাহকরা বিক্ষোভও করেন।
২) আর্থিক উদ্বেগ: গ্রাহকদের একটি বড় উদ্বেগ ছিল যে স্মার্ট মিটার লাগানোর খরচ তাদের নাগালের বাইরে এবং এতে তাদের আর্থিক সামর্থ্যের উপর চাপ সৃষ্টি হবে।
৩) গোপনীয়তা সংক্রান্ত উদ্বেগ: কিছু গ্রাহক তাদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন বাড়ির ব্যবহার সংক্রান্ত ডেটা, শক্তি সরবরাহকারী সংস্থার কাছে পাঠানো নিয়ে চিন্তিত ছিলেন।
৪) প্রক্রিয়াগত সমস্যা: অনেক ক্ষেত্রে, গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল যে নতুন স্মার্ট মিটার কীভাবে কাজ করে তা স্পষ্ট ছিল না এবং বিলিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো সঠিক তথ্য ছিল না।
৫) রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ: গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান প্রতিবাদের মুখে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্মার্ট মিটার বসানোর সিদ্ধান্তকে বাতিল করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা পরে বিধানসভাতেও মন্ত্রীরা নিশ্চিত করেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।