সূত্রের খবর, টানা দু দিনের বৃষ্টিতে দক্ষিণেশ্বরের দিক বালি ব্রিজে যাওয়ার ১০০ মিটারের রাস্তায় ধস নামে। টানা বৃষ্টির ফলে মাটি সরে যাওয়ায় গতকাল রাতে এই এলাকায় ধস নামে।
কয়েকদিন ধরেই চলছে টানা বৃষ্টি (Heavy Rain)। আর তার জেরেই এবার ধস নামল বালি ব্রিজে (Bally Bridge) ওঠার রাস্তায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান পূর্ত দফতরের (Public Works Department) আধিকারিকরা। শুরু হয় ধস মেরামতির কাজ। রাস্তার একটি অংশ আটকে রেখে যান চলাচল করানো হচ্ছে। যদিও খুবই ধীর গতিতে চলছে গাড়িগুলি।
সূত্রের খবর, টানা দু দিনের বৃষ্টিতে দক্ষিণেশ্বরের দিক বালি ব্রিজে যাওয়ার ১০০ মিটারের রাস্তায় ধস (Landslide) নামে। টানা বৃষ্টির ফলে মাটি সরে যাওয়ায় গতকাল রাতে এই এলাকায় ধস নামে। তারপরই বিষয়টি নজরে আসে ডানলপ ট্র্যাফিক গার্ড (Traffic Guard) ও পূর্ত দফতরের। এরপর শুরু হয় কাজ। জানা গিয়েছে অস্থায়ী ভিত্তিতে ওই ধস নামা অংশে শাল খুঁটি পুঁতে তার মাঝে সাদা বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।
কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। বাদ যায়নি হাওড়াও (Howrah)। ফলে নাগাড়ে বৃষ্টিতে রাস্তা থেকে জল সমানেই নেমেছে নিচের দিকে। আর তার ফলেই আলগা হয়ে গিয়েছে মাটি। তার ফলেই এই ধসের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ত দফতরের কর্মীরা। তবে বিষয়টি নজরে না আসলে এখানে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- কড়েয়ায় বিকট শব্দে বহুতলের দেওয়াল ভেঙে পড়ে আহত ৪, বিস্ফোরণ বলে অনুমান পুলিশের
১৬ সেপ্টেম্বর পানিহাটি এক নম্বর ওয়ার্ড রাজাবাগান কলোনিতে গঙ্গা সংলগ্ন এলাকায় ধস নেমেছিল। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গঙ্গার ঘাট সহ এলাকার বহু বাড়ি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে যথেষ্ট আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এছাড়া গত মাসের ২৮ অগাস্ট রেললাইনে ধস নামার জেরে ব্যাহত হয় বনগাঁ শাখার ট্রেন চলাচল। শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার গুমা ও অশোকনগর রোড স্টেশনের মাঝে রেললাইনে ধস নামে। সকাল ৬টা থেকেই বন্ধ হয়ে পড়েছিল ট্রেন চলাচল। পরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ধস মেরামত করে শুরু হয় ট্রেন চলাচল।
আরও পড়ুন- হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে পৌঁছাল পদ্মার ইলিশ, খুশি ব্যবসায়ীরা
তার আগে টানা বৃষ্টির জেরে নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর রুটে মেট্রো লাইনের পাশে ধস নেমেছিল। ওই সময় ট্রেন চলাচল ব্যাহত না হলেও ধীর গতিতে চলছিল ট্রেন।