সংক্ষিপ্ত
গতকাল রাতে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ট্রাক বোঝাই করে ওই মাছ বাংলায় এসে পৌঁছেছে। আজ সকালে তা পৌঁছে যায় হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে।
পুজোর (Durga Puja) মুখে ভোজন রসিকদের জন্য সুখবর। কাটতে চলেছে ইলিশ (Hilsa) খরা। পুজোর আগেই ইলিশের দেখা মিলল রাজ্যে। গতকাল রাতে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ট্রাক বোঝাই করে ওই মাছ বাংলায় এসে পৌঁছেছে। আজ সকালে তা পৌঁছে যায় হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে (Howrah Wholesale Fish Market)। এর ফলে বেজায় খুশি ব্যবসায়ী থেকে ভোজনরসিক বাঙালি সবাই।
বুধবার পেট্রাপোল সীমান্ত (Petrapole border) দিয়ে ১৪ টি ট্রাকে করে ইলিশ প্রবেশ করেছে রাজ্যে। তারপর সেখান থেকে ট্রাক বদলে গতরাতেই সেগুলি কলকাতার পাইকারি বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। আর আজ সকালে হাওড়ার পাইকারি বাজারে প্রায় ৮০ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ এসে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন- করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ডেঙ্গুর থাবা কলকাতায়, মৃত্যু যুবকের
১০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই একই রকমভাবে ইলিশ আসবে বলে জানিয়েছেন হাওড়া হোলসেল ফিস মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের আধিকারিক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ। তিনি আরও জানিয়েছেন, এবার কিছুটা দেরি হলেও গত বছরের মতো এ বছরও ২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে আসবে। যার ফলে ইলিশের যোগান বাড়বে রাজ্যের বাজারগুলিতে। তার ফলে মাছের দামও অনেকটাই কমবে।
আরও পড়ুন- ফের ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ, সপ্তাহ শেষে আবারও ভিজতে পারে তিলোত্তমা
এবছর দিঘা, শঙ্করপুর, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার থেকে সেভাবে ইলিশ আসেনি। ফলে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসার খবরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বাঙালি। পাশাপাশি পুজোর আগে বাজারে ইলিশের যোগান বেশি থাকলে দামও সাধ্যের মধ্যেই থাকবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন রাজ্যবাসী।
একসময় বর্ষার শুরু থেকেই প্রতিদিন টন টন ইলিশ আমদানি হত ভারতে। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হত। গত কয়েক বছর ধরে এদেশে বাংলাদেশের ইলিশ আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের নিষেধাজ্ঞার জেরে এতদিন সেই ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করতে পারেননি বাংলার ভোজনরসিক বাঙালি। অনেক আবেদনের পর গত বছর পুজোর আগে ২ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। এবছরও ঠিক দুর্গা পুজোর আগে ইলিশ রপ্তানিতে অনুমতি দিয়েছে সে দেশের সরকার। তবে সেই অনুমতি খুব সহজে মেলেনি। অনেকবার অনুরোধ করা হয়েছে। তারপরই সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অবশেষে গতকাল সেই মাছ এসে পৌঁছাল রাজ্যে।