আশিস মণ্ডল, বীরভূম-একটি মাত্র অস্থায়ী রেলগেট। রেললাইন পেরিয়ে যাতায়াত করে রুটি-রুজি জন্য গ্রাম থেকে শহরে আসেন প্রায় ৩৬টি গ্রামের মানুষ। নাহলে ১৫ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ ঘুরপথ। এই অবস্থায় অসুরক্ষিত গেটটি রেল বন্ধ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। প্রতিবাদে রেল গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন গ্রামবাসীরা। রেলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
আরও পড়ুন-'লকডাউন করে লাভ হচ্ছে না, বিজেপিকে আটকানো চেষ্টা', বর্ধমানে বিস্ফোরক দিলীপ
ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপলাইনে মুরারই থানার বাঁশলৈ স্টেশনের কাছে। ওই রেলগেট দিয়ে যাতায়াত করেন মুরারই ১ নম্বর ব্লকের মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৬ গ্রামের মানুষ। শুধু তাই নয়, ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা এই মাকুয়া রেলগেট। দীর্ঘদিন অসুরক্ষিত অবস্থায় ছিল রেলগেটটি। তবুও জীবনের ঝুঁকি পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এই অবস্থায় দুই জন কর্মী নিয়োগ করে রেল। সেখানে কোনও ঘর না থাকায় অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করে ওই রেলকর্মীরা। কিন্তু কিছুদিন আগে রেলকর্মীরা আসা বন্ধ করে দেন। যে অস্থায়ী ছাউনি ছিল সেটিকেও ভেঙে দেয় রেল। অভিযোগ, রেল রেলগেট বন্ধ করতেই এই অস্থায়ী ছাউনি ভেঙে দিয়েছে। প্রতিবাদে সোচ্চার হন গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন-'মোটা টাকা দিলেই পরীক্ষায় বেশি নম্বর', চাঞ্চল্যকর অভিযোগ কলেজের ৩ অধ্য়াপকের বিরুদ্ধে
বুধবার রেল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রানবাসীরা। তাঁদের দাবি, আমরা কোনও ভাবেই এই রেলগেট বন্ধ হতে দেব না। গেট বন্ধ হলে ১৫ কিলোমিটার ঘুরপথে রাজগ্রাম হয়ে মুরারই পৌঁছতে হবে। রেলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ধারাবাহিকভাবে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলে জানান গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন-পাহাড় থেকে জাতীয় সড়কে পড়ল পাথর, সেবক সহ সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক, নিখিল কুমার চক্রবর্তী বলেন, যে সব রেলগেটে কর্মী নেই সেই সব গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সব রেলগেটে রেলের অনুমোদন নেই, দুর্ঘটনা এড়াতেই গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিন গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখালেও রেলের তরফে কারোর দেখা মেলেনি।