ভিড় ও অশান্তি এড়াতে স্থানীয়রা অনেক সময় ইট বা অন্য কোনও চিহ্ন দিয়ে লাইন রেখে যাচ্ছিল। কিন্তু, পরে টিকা নিতে যাওয়ার সময় অনেকেই ইট খুঁজে পেতেন না।
"যে সকল ব্যক্তিরা ভ্যাকসিন নেবেন তাহাদের জানানো হইতেছে যে, যারা শুধুমাত্র লাইনে দাঁড়াবেন তাহাদেরকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হইবে। কোনও ইট, পাথর বা চিহ্ন দিলে তাদেরকে গ্রহণ করা হইবে না।" এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দাসপাড়ার লালবাজার পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন- জয় গোস্বামী-মমতাকে নিয়ে 'অপমানজনক' পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়, থানায় অভিযোগ দায়ের কবি কন্যার
করোনা টিকার আকাল দেখা দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। এই পরিস্থিতিতে টিকার জন্য রাত থেকে লাইন দিচ্ছেন অনেকেই। এমনকী, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাত্রিযাপন করছেন তাঁরা। সম্প্রতি টিকার ঘাটতির জেরে এই ছবি ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের দাসপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। টিকা নেওয়ার জন্য সন্ধের আগেই বাড়ি থেকে রওনা দিচ্ছেন স্থানীয়রা। খাওয়া সেরে সটান মশারি নিয়ে হাজির হচ্ছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। শুধুমাত্র টিকার লাইনে আগে দাঁড়ানোর জন্য এই কাজ করছেন তাঁরা। কেউ আবার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বারান্দাতে কোনওরকমে রাত কাটিয়ে সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ছেন।
এদিকে রাতের দিকে লাইন দেওয়ার সময় কেউ রাখছেন ইট, তো কেউ আবার চটি। এভাবেই লাইন রাখতে দেখা যাচ্ছে অনেককেই। আর সেই কারণেই পুলিশের তরফে ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। যেখানে সাফ বলে দেওয়া হয়েছে যে ইট, পাথর দিয়ে লাইন রাখলে তাদের টিকা দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন- ঘর ভেঙেছে অন্ধ বাপির, মুখ খুলতেও বাধা, গুরুতর অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আসানসোলে
ভিড় ও অশান্তি এড়াতে স্থানীয়রা অনেক সময় ইট বা অন্য কোনও চিহ্ন দিয়ে লাইন রেখে যাচ্ছিল। কিন্তু, পরে টিকা নিতে যাওয়ার সময় অনেকেই ইট খুঁজে পেতেন না। তখন সৃষ্টি হত বিশৃঙ্খলা। স্থানীয় দাসপাড়া লালবাজার পুলিশকেই সেই পরিস্থিতির সামাল দিতে হত। আর তা সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেত পুলিশ। এরপরই পুলিশের তরফে ওই বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- টাকার বিনিময়ে মিলত টিকা, ভুয়ো টিকাকরণ শিবির সোনারপুরে, গ্রেফতার ১
আর এই বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা সন্ধেতে বাড়ি থেকে এসেই দাঁড়িয়ে পড়ছেন লাইনে। পালা করে ঘুমিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই রাত কাটাচ্ছেন তাঁরা। এরপর সকাল সকাল টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে তাঁদের।