দলে মহিলা সংগঠনের ভিত আরও শক্ত করতে বিজেপির রাজ্য় সহ সভাপতি পদে আনা হল মাফুজা খাতুন ও ভারতী ঘোষকে। লোকসভা নির্বাচনে জমি কামড়ে পড়ে থাকার জন্য এই গুরু দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁদের। পাশাপাশি দলে বেশকিছু রদবদল করা হয়েছে।
নির্বাচনের সময় থেকেই খবরটা হাওয়ায় ভাসছিল। এবার হয়তো দলের সংখ্যালঘু মহিলা মুখ হতে পারেন সিপিএম থেকে আসা মাফুজা খাতুন। পরে খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন করে মাফুজার বায়োডেটা নেওয়া হয়। তখন বিষয়টা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন সকলে। তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথা রদ থেকে শুরু করে বেঙ্গল বিজেপির মুসলিম মহিলাদের আওয়াজ হতে চলেছেন মাফুজা। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার রাজ্য় বিজেপির সহ সভাপতির পদে আনা হল মাফুজা খাতুনকে।
আরও পড়ুন :ভারী বৃষ্টির আশা নেই, গরমের অস্বস্তি বাড়তে পারে কলকাতায়
আরও পড়ুন :জেএমবি জঙ্গি হওয়ার আগে কেমিক্য়াল ইঞ্জিনিয়ার ছিল ইজাজ
একই পদে আনা হয়েছে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে। মূলত ঘাটালে তৃণমূলের সঙ্গে যেভাবে নির্বাচনী ময়দানে লড়াই চালিয়েছেন তার প্রতিদান স্বরূপ ভারতীর এই উত্তরণ বলে মনে করেছে রাজনৈতিক মহল। মূলত, বিজেপির মহিলা শাখার প্রধান লকেট চট্টোপাধ্যায় হুগলির সাংসদ হওয়ায় কাজ বেড়েছে তাঁর। সেকারণে তিনি দিল্লিতে থাকলে রাজ্য়ে মহিলা মোর্চাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন ভারতী, মাফুজা।
তবে শুধু মহিলাদের ক্ষেত্রেই নয়, বদল করা হয়েছে অন্য ক্ষেত্রেও। দলের সাধারণ সম্পাদক পদে আনা হয়েছে রথীন বসুকে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, প্রশান্ত কিশোরকে দিয়ে দিদিকে বলো শুরু হওয়ায় চাপে পড়েছে বিজেপি। এতদিন তৃণমূল নেত্রীর এই জনবিচ্ছিন্নতার সুযোগ নিচ্ছিল বিজেপি। এবার দলের জনসম্পর্ক আরও ভালো করতে চাইছে তাঁরা। সেকারণে দলের সাদারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে আনা হয়েছে জনসম্পর্কের দায়িত্বে। তাঁর সঙ্গে থাকবেন অমিতাভ মৈত্র। অপর সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্য়োপাধায়কে আনা হয়েছে জনজাগরণের দায়িত্বে। তাঁকে সাহায্য় করবেন দেবজিৎ সরকার।
আরও পড়ুন :আমি খুন শুরু করলে বংশ লোপাট করে দেব, ফের বেফাঁস দিলীপ
আরও পড়ুন :কখনও মারাদোনা, কখনও মা লক্ষ্মী, বহরূপী অভিজিতের একই অঙ্গে অনেক রূপ
মঙ্গলবার আইসিসিআর-এ বসেছিল দলের রাজ্য় কর্মশালা। সংগঠনাত্মক নির্বাচন শীর্যক কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সবার উদ্দেশ্য়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, যারা আমাদের পার্টিতে এসেছেন অনেকেই আমাদের পার্টির নিয়ম-কানুন জানেন না। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন মানেই সংঘর্ষ। সেটি ছোট-বড় নির্বাচন সব ক্ষেত্রেই সংঘর্ষ হয়। বিজেপি ৮০ শতাংশ বুথে কমিটি গঠন করেছে। ভারতবর্ষে সদস্যতা অভিযানে বাংলা এক নাম্বার। এখানে ৮০ লক্ষ ৩৫ হাজার সদস্য ইতিমধ্যে হয়েছে। আগামী মাস থেকে বুথ স্তরে সভাপতি নির্বাচনের কাজ শুরু হবে। সেই কারণে ১০০ জন কর্মীকে দলের তরফে বাছা হয়েছে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েই সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া চালু হবে