কী কাণ্ড, সরকারি চাকরির লোভে পুরুলিয়ায় সবাই এখন 'মাওবাদী' - ঠগ বাছতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ

মাওবাদি হলেই সরকারি চাকরি দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। পুরুলিয়ায় তাই এখন নিজেদের মাওবাদী বলে দাবি করার ধূম পড়ে গিয়েছে। 
 

Asianet News Bangla | Published : Aug 2, 2021 5:06 PM IST / Updated: Aug 02 2021, 10:49 PM IST

সরকারি চাকরির আকালের বাজারে পুরুলিয়ায় এখন সবাই দাবি করছেন তারা মাওবাদী। কারণ মাওবাদী পরিচয় দেখাতে পারলেই সহজে মিলছে সরকারি চাকরি। তাই নিজেদের মাওবাদী দাবি করে চাকরী চাওয়ার ধূম পড়ে গিয়েছে পশ্চিমী ই জেলায়। আর ঠগ বাছতে এখন হিসশিম খাচ্ছে পুলিশ। 

সোমবার বিকেলেও যেমন পুরুলিয়ায় পুলিশ বিভাগে চাকরি পেলেন মোট ১৯ জন প্রাক্তন মাওবাদী। এদের মধ্যে ৪ জন মহিলা। এদিন বিকেলে পুরুলিয়া জেলা শাসকের দফতরে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন পুরুলিয়া উচ্চপদস্থ সরকারী আধিকারিকরা। আসলে সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার মাওবাদীদের সমাজে পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাটা দিয়ে কাটা তোলার লক্ষ্যে প্রাক্তন মাওবাদীদের নিয়োগ করা হচ্ছে পুলিশ বিভাগে। 

সোমবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুরুলিয়ার এই অনুষ্ঠানটি কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত করা হয়েছিল। এদিন যে ১৯ জন পুলিশ বিভাগে নিয়োগ পেলেন, তাদের অনেকেই একসময় সক্রিয় মাওবাদী রাজনীতি করতেন। আবার কেউ কেউ ছিলেন মাওবাদীদের লিঙ্কম্যান। অর্থাৎ, এরা জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীদের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ রক্ষা করতেন। তাদের প্রয়োজন মেটচানো থেকে শুরু করে পুলিশি অভিযান সম্পর্কে আগাম খবর পৌঁছে দিতেন মাওবাদীদের। এদিনের ১৯ জনকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত পুরুলিয়া জেলাতেই মোট ২০৬ মাওবাদীকে হোমগার্ডের পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন - মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসে বড় ধস, অধীরের দিল্লি থাকার সুযোগে হাত বাড়ত তৃণমূল

আরও পড়ুন - ইউটার্ন নিলেন বাবুল সুপ্রিয়ো, নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই সরে এলেন আগের অবস্থান থেকে

আরও পড়ুন - 'দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল', 'খেলা' শুরু অভিষেকের

জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান জানিয়েছেন, হোম গার্ড পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ই প্রাক্তন মাওবাদীদের মঙ্গলবারই ৪২ দিনের জন্য ট্রেনিংয়ে পাঠানো হবে। ট্রেনিং শেষ করে েসে তারা জেলার বিভিন্ন থানায় নিযুক্ত হবেন। পুলিশ একসময় তাদেরকে খুঁজত, এখন তারাই পুলিশের উর্দি গায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবেন। তবে, ভুয়ো মাওবাদীর ক্রমবর্ধমান সংখ্য়া সরকারি এই প্রকল্পের পথে যে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে, তা মেনে নিয়েছেন এসপি। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, চাকরিপ্রার্থীরা তথ্য জমা দেওয়ার পর তাদের তথ্য যাচাই করে তবেই সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে। তারপর রাজ্য সরকারের যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেইমতো কাজ করা হবে। 

চাকরির নিয়োগপত্র পেয়ে স্পষ্টতই খুশি প্রাক্তন মাওবাদীরা। তবে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তারা।

Share this article
click me!