নিউ দিঘার একটি হোটেলের ঘর থেকে রাম উপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি হুগলির ডানকুনির গোকুলধাম দিল্লি রোডের বাসিন্দা। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা করতেন তিনি।
স্ত্রীকে না জানিয়েই দিঘায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। না তবে একা যাননি। গিয়েছিলেন প্রেমিকার সঙ্গে। ভেবেছিলেন সেখানে কটাদিন প্রেমিকার সঙ্গে একান্তে সময় কাটাবেন। কিন্তু, সঙ্গ দিল না ভাগ্য! আসলে সেখানে ঘুরতে যাওয়াই যে তাঁর জন্য কাল হবে তা ভাবতেই পারেননি। রহস্যজনকভাবে সেখানে মৃত্যু হল ব্যক্তির। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তাঁর প্রেমিকাকে আটক করেছে পুলিশ। শুরু হয়ছে ঘটনার তদন্ত। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
নিউ দিঘার একটি হোটেলের ঘর থেকে রাম উপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি হুগলির ডানকুনির গোকুলধাম দিল্লি রোডের বাসিন্দা। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা করতেন তিনি। রবিবার প্রেমিকা মালা ঘোষকে নিয়ে দিঘায় যান তিনি। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে নিউ দিঘার একটি বেসরকারি হোটেলে উঠেছিলেন। সব ঠিকই ছিল।
আরও পড়ুন- বেড়েই চলেছে বিজেপির বিড়ম্বনা, সরকারি প্রকল্পের প্রশংসা জিতেন্দ্রর মুখে
রবিবার সন্ধেয় তাঁরা দু'জনে ঘুরতেও বেরিয়েছিলেন। এরপর রাতে রুমে ফিরে আসেন। খাওয়া দাওয়া করেন, চলে দেদার মদ্যপান। মালার দাবি, এরপর দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয়। বেশ কিছুক্ষণ ব্যালকনিতে বসে ছিলেন মালা। তিনি পরে ঘরে ঢুকে দেখেন গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন রাম। প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি বিষয়টি। ভেবেছিলেন হয়তো রাম মজা করছেন। সেই কারণে রামের গলার ফাঁস খুলে তাঁকে বিছানায় শুইয়ে দেন। এরপর সোমবার সকালে উঠে তিনি দেখেন রামের কোনও সাড়াশব্দ নেই। তারপরই বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
আরও পড়ুন- 'কলকাতায় হিন্দু ভোটাররা বের হননি', দলের হারে যুক্তি দিলীপ ঘোষের
জানা গিয়েছে, মালা বারাসতের নপাড়ার বাসিন্দা। তিনিও বিবাহিত। দীর্ঘদিন ধরেই রামের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। এদিকে দিঘায় যে প্রেমিকার সঙ্গে রাম ঘুরতে যাচ্ছেন তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তাঁর স্ত্রী অনিতা উপাধ্যায়। ব্যবসার কাজে হলদিয়ায় যাচ্ছেন বলে স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন রাম। রবিবারই তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। রাত হয়ে গেলেও না ফেরায় স্ত্রী ফোন করেন। সেই সময় রাম জানিয়েছিল গাড়ি খারাপ হয়ে গিয়েছে, ফিরতে দেরি হবে। এরপর সোমবারও স্বামী বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন অনিতা। তখন স্বামীকে ফোন করলে সেই ফোন ধরেছিলেন মালা। ঘটনার কথা অনিতাকে জানান তিনি।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মালা ও রামের মধ্যে কী এমন ঝামেলা হয়েছিল যে তার জন্য আত্মঘাতী হতে হল? রাম গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়লেন আর এক ঘরে থেকেও তা জানতেই পারলেন না মালা? গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থা থেকে বিছানায় নামালেন অথচ কিছুই বুঝতে পারলেন না মালা? আসল ঘটনাটি ঠিক কী তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। যদিও এই সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মালা। তাঁর দাবি, দু'জনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাই কিছুই বুঝতে পারেননি।