সংক্ষিপ্ত
দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও একেবারে ধরাশায়ী বিজেপি। দলের এই অবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হারের কারণ সম্পর্কে জানিয়েছেন তিনি।
একুশের বিধানসভা ভোট থেকেই কার্যত টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। কারণ বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বাংলায় ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেছিল তারা। কিন্তু, তাদের সেই স্বপ্ন আর বাস্তবে পরিণত হয়নি। এমনকী, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে বিজেপির অবস্থা আরও খাবার হতে শুরু করে। একের পর এক নেতা দলত্যাগ করেন। তারপর পুরো ভোটেও ভালো ফল করতে পারেনি তারা। এছাড়া দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও একেবারে ধরাশায়ী বিজেপি। দলের এই অবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হারের কারণ সম্পর্কে জানিয়েছেন তিনি।
আসানসোল ও বালিগঞ্জ দুটি বিধানসভা কেন্দ্রেই একেবারে ধরাশায়ী বিজেপি। বালিগঞ্জ তৃণমূলের জেতা আসন থাকলেও সেখানে বাবুল সুপ্রিয় খুব বেশি ভোট পাননি। আর সেখানে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে গিয়েছে সিপিএম। শনিবার ভোট গণনার শুরুতেই বালিগঞ্জে ১৩ হাজার ভোটে এগিয়ে যখন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়, তখনই বালিগঞ্জে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইএম পার্থী সায়রা শাহ হালিম। তারপর কংগ্রেস প্রার্থী পেরিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। যদিও পরের দশম রাউন্ডের পরে কংগ্রেসকে টপকে বিজেপি এগিয়ে আসে। তবে সায়রাকে টপকাতে পারেনি বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ।প্রথমবার উপনির্বাচনের দাঁড়িয়ে প্রায় হেভিওয়েট বাবুলের সমানে সমানে একা হাতেই ব্যাটিং করেন বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। বলতে গেলে একুশের বিধানসভা ভোটে বামেদের অনেক নতুন মুখই দেখা গিয়েছিল প্রার্থী পদে। তবে এভাবে সায়রার মতো লড়াই করতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন- 'অনুব্রত মণ্ডলকে বিষ ইন্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে', আশঙ্কা বিজেপি বিধায়কের
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "কলকাতায় যেটা হয়েছে হিন্দু ভোটাররা বের হননি। বিশেষত আমাদের যাঁরা ভোট দিতে যান তাঁরা ভোট দিতে যাননি। এনিয়ে অবাক হইনি। এটাই প্রত্যাশিত ছিল। তবে তৃণমূলের প্রার্থীর জন্য ওদের ভোট কমেছে। সংখ্যালঘু ভোটাররা ঠিক করেছিলেন তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না। যাঁরা সিপিএম থেকে বেরিয়ে গত বিধানসভায় তৃণমূলকে ভোট দিতেন তাঁরাও ফের সিপিএমকে ভোট দিয়েছেন। বাকি কিছু পার্থক্য হয়নি। যেভাবে ভয় আর হিংসার পরিবেশ তৈরি হয়েছে যে আমাদের কর্মীরাও বের হননি।"
আরও পড়ুন- জিতেও শান্তি এল না, বালিগঞ্জের ২ ওয়ার্ডে কেন পিছিয়ে তৃণমূল, খতিয়ে দেখছে শাসকদল
অন্যদিকে আসানসোল হল বিজেপির জেতা আসন। আর সেখানে লোকসভা উপনির্বাচনের মাধ্যমে শত্রুঘ্ন সিনহার হাত ধরে প্রথমবার জয়ের স্বাদ পেয়েছে তৃণমূল। শুধু জয়ই নয়, রেকর্ড জয়। এমনকী, বিজেপিতে থাকাকালীন বাবুলের রেকর্ডও ব্রেক করেছেন বিহারীবাবু। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে এই বড় মার্জিনে আগে কেউ জেতেনি। এই কেন্দ্রের জয় নিয়েও মন্তব্য করেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, "কে প্রার্থী সেটা বড় কথা নয়। সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে বের হননি। নির্বাচনী প্রচারেও সাধারণ মানুষও চুপচাপ ছিলেন।"
আরও পড়ুন, 'কেন এতগুলি ইস্তফা একসঙ্গে', বিজেপির ভরাডুবির পর বিস্ফোরক অনুপম হাজরা