ঘাসফুলের এই ভরা জোয়ারেও পদ্মের মান বাঁচালেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয় আপাতত বিজেপির মুখ রক্ষা করতে পারলেন তিনি।
পৌরসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের মতো ঘাসফুল ঝড়ে কার্যত ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বিজেপি। বামেদের খাতায় তবু একটা পৌরসভা এলেও বিজেপি কার্যত খাতাই খুলতে পারেনি। ১০৮টি পৌরসভার মধ্যে একটিতেও জয় পায়নি পদ্ম শিবির। এদিকে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে খড়গপুর সদর আসনে জয় এসেছিল বিজেপি-র(BJP) ঘরে। জয়ী হয়েছিলেন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাই এবারের পুর নির্বাচনে এই আসনে ভালো ফলের আশায় ছিল দিলীপ ব্রিগেড। কিন্তু সে গুড়ে বালি। প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী খড়গপুরের মোট ৩৫টি ওয়ার্ডের ২০টিতে জয়লাভ করে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে মমতা-শিবির।বিজেপি ও কংগ্রেস ৬ টি করে ওয়ার্ড দখল করতে পেরেছে। তাছাড়া, বামেরা জয়ী হয়েছে ২ টি ওয়ার্ডে এবং একটি ওয়ার্ডে নির্দল জয়ী হয়েছে। আর ঘাসফুলের এই ভরা জোয়ারেও পদ্মের মান বাঁচালেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়(Hiran Chatterjee)। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয় আপাতত বিজেপির মুখ রক্ষা করতে পারলেন তিনি।
এদিকে খড়গপুর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের গড় হিসেবেই পরিচিত। এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন দিলীপ। কিন্তু সেখানেও এবার বিশেষ কিছুই করে উঠতে পারল না পদ্ম শিবির। উল্টে বুধবার ভোটের ফলপ্রকাশ হতেই যেখানে দিলীপ-গড়ে সবুজ আবির উড়িয়ে তৃণমূলের উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে। এদিকে ৩৩ নং ওয়ার্ডে হিরণের জয় কিন্তু সহজ কথায় একদমই সহজ ছিল না। এই ওয়ার্ডে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল বহুকালের তৃণমূল নেতা জহর পাল। সেই আদি তৃণমূল নেতাকে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন বিজেপির তারকা বিধায়ক। এদিকে জয়ের পর হিরণ বলেব, “আমি বিধায়ক হিসেবে মানুষের জন্য নিরন্তর কাজ করেছি। আগামী দিনেও কাউন্সিলর হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করে যাব। সর্বত ভাবে এটা ঐতিহাসিক জয়। এটা আমার ব্যক্তিগত জয়, কখনোই বলব না। এই জয় মানুষের। তাঁদের বিশ্বাসের। ভারতীয় জনতা পার্টির জয়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীরা একফোঁটা জলের জন্য হাহাকার করে গিয়েছেন। বঞ্চনা, লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। এই জয়-ই মানুষের প্রতিবাদী উত্তর। মানুষ-ই শেষকথা।” এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ নিয়ে দলীয় রোষের মুখে পড়েছিলেন হিরণ।
আরও পড়ুন- শুরু ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন, কার হাতে যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ
আরও পড়ুন- কার দখলে কৃষ্ণনগর, রাত পোহালেই ফলপ্রকাশ
আরও পড়ুন- কার দখলে যাচ্ছে নবদ্বীপ পৌরসভা, শুরু কাউন্টডাউন
এমনকি এও শোনা গিয়েছিল শীঘ্রই দল ছাড়তে পারেন এই তারকা রাজনীতিবিদ। এমনকী দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি নিয়েও শওনা গিয়েছিল নানা কানাঘুঁষো। এবার সেই হিরণের হাত ধরেই খড়গপুরে মুখ রক্ষা করল পদ্ম শিবির। যদিও মোটের উপর ভোটের ফলে যে বিজেপি মারাত্মক চাপে রয়েছে তা আর বলরা অপেক্ষা রাখে না।