আমফানের দুর্যোগেই কাশ্মীরে শহিদ বাংলার জওয়ান, খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ল স্ত্রী

Published : May 21, 2020, 07:33 PM ISTUpdated : May 21, 2020, 07:36 PM IST
আমফানের দুর্যোগেই কাশ্মীরে শহিদ বাংলার জওয়ান, খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ল স্ত্রী

সংক্ষিপ্ত

আমফানের দুর্যোগের মধ্যেই শহিদ রাজ্যের এক জওয়ান মুর্শিদাবাদে বাড়ি ওই জওয়ানের বাড়িতে এখন শোকের ছায়া এলাকা জুড়ে এখন শোকের ছায়া কাশ্মীরের চানাগর এলাকায় জঙ্গি হামলায় এই ঘটনা 

বাংলা যখন ঘূর্ণিঝড় আমফানে বিধ্বস্ত। ঠিক তখন কাশ্মীরের বুকে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হলেন বাংলার জওয়ান। জিয়াউল হক নামে ওই জওয়ান সিআরপিএফ-এর ৩৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি চণ্ডীগড় থেকে কাশ্মীরে পোস্টিং হয়েছিল জিয়াউলের। বছর ৩৪-এর জিয়াউলের বাড়ি মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের গোপালপুরে। বৃহস্পতিবার বাড়িতে তাঁর শহিদ হওয়ার খবর পৌঁছতেই নেমে আসে শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙে পড়েন জিয়াউলের স্ত্রী আনিসা। শহিদ জিয়াউলের চার বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তার নাম জেসমিন। 

জিয়াউলের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন শুরু হওয়ার দু'মাস আগেই বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। ইদেও বাড়িতে আসার কথা ছিল। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, চানাগড় এলাকায় আচমকাই সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে জিয়াউলদের গুলির লড়াই শুরু হয়। এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই জিয়াউলের বাজার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সহকর্মীদের উপর জঙ্গিরা হামলা করেছে দেখে তিনিও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি চালাতে শুরু করেছিলেন। এই সময় গুলির আঘাতে জিয়াউল শহিদ হন। 

পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী ছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই জিয়াউলের শহিদ হওয়ার খবরে ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-বাবাও। এলাকার বাসিন্দারা আপাতত এই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই দুর্যোগের মধ্যে যাতে জিয়াউলের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা যায় সে জন্য সেনাবাহিনী ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন কিছু প্রতিবেশী। উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গ্রামের বীর ছেলেকে বিদায় জানাতে চায় গোপালপুর। 

PREV
click me!

Recommended Stories

বাবরি মসজিদের ভিত্তি স্থাপনের পর এ কী মন্তব্য আব্দুর রহিম বক্সির? দেখুন
আইটিসি সঙ্গীত সম্মেলন ২০২৫ চলছে মহা আড়ম্বরে! সঙ্গীতের মহামঞ্চে সম্মানিত এই কিংবদন্তী শিল্পী