শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আগাম সতর্কতা, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের অধিকর্তাদের সতর্কবার্তার পাশাপাশি উপেক্ষা করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ গবেষকদের সতর্কবার্তা।
নবান্নই (Nabanna) এই রাজ্যে করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গকে (Coronavirus third wave) ডেকে আনছে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলে কড়া সুরে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিজেপি (BJP) নেতা তথা রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। তাঁর কথায় 'নবান্ন স্পনসরড কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গ আজ রাজ্যের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন।'
শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আগাম সতর্কতা, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের অধিকর্তাদের সতর্কবার্তার পাশাপাশি উপেক্ষা করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ গবেষকদের সতর্কবার্তা। তাতেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সতর্কবার্তা জারি করা হয়নি। শাসকদলের পরিচালিত মেলা ও খেলার পাশাপাশি এদিন তাঁর নিশানায় ছিল ২৫ ডিসেম্বর থেকে পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত পার্ক স্ট্রিটের বিপুল জনসমাগম। তিনি কটাক্ষ করেন বলেন, 'বিশাল জনসমাগম দেখে মনে হচ্ছিল যীশু খ্রিস্ট পার্কস্ট্রিটে ক্রুশ বিদ্ধ হয়েছিলেন।' তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন রাজ্য সরকার কোনও দিনই কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তরিক ছিল না। তৃতীয় তরঙ্গের সময়ই তৃণমূল সরকার কোভিড লড়াইয়ে উদাসীন বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা।
কোভিড বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্যসরকার কতটা সতর্ক তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে কোভিড শয্যার সংখ্যা কত?ভেন্টিলেটর কত?কোনও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে কিনা ? সেফহোম করা হয়েছে কিনা?- তার কোনও স্পষ্ট তথ্য রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে নেই। তিনি আরও বলেন, গত কোভিডকালে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি সরব হয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত যে কোভিডে মৃত্যুর ক্ষতিপুরণে এই রাজ্য সবথেকে নিচের সারিতে রয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে গণপরিবহনে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন ট্রেনের সংখ্যা কমলে বাসের ওপর ভিড় বাড়বে। সরকারি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি বাসের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে কমেছে রাজ্যে। তাই ভিড়ের কারণে সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন রাজ্যের জ্বালানি তেলের দাম আকাশ ছোঁয়া, কেন্দ্রীয় সরকার দাম কমানোর পর একাধিক রাজ্য জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার দাম কমায়নি। তাতে অনেক বাসই বসে গেছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদিকে রাজ্যে সোমবার থেকে আংশিক লকডাউন ডাকা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কাশ্মীরে পাকিস্তানের অনুপ্রবেশের চেষ্টা, নিহত পাক নাগরিকের দেহ ফেরাতে হট লাইনে যোগাযোগ ভারতের
Lokayukt নিয়োগ নিয়ে টুইট করে বিতর্ক বাড়ালেন রাজ্যপাল, মমতার সঙ্গে শুভেন্দুকেও নিশানা অধিকারকর্মীর
Omicron Symptoms: আপনি কি ওমিক্রন আক্রান্ত, এই দুটি উপসর্গ থাকলেই সাবধান হয়ে যান