সুকান্ত মজুমদার বলেন অনেক দেরি করে ফেলেছে নবান্ন। আরও আগে এই নিয়ে ভাবতে হত রাজ্যকে। সন্ধ্যে সাতটার পর লোকাল ট্রেন বন্ধ হলে অফিস কর্মীরা কি করে ফিরবেন তা মাথায় রাখতে হত সরকারকে।
তৃতীয় ঢেউ (3rd Wave) আসতেই ফের রাজ্য সরকার (West Bengal Govt) করোনা (Corona) নিয়ে একাধিক বিধিনিষেধ (Covid Rules) জারি করেছে। রবিবার বিকেলে (Sunday) রাজ্যের তরফ থেকে করোনার নতুন বিধিনিষেধ (Corona Rules) নিয়ে ঘোষণা করা হয়। নবান্ন (Nabanna) নতুন বিধিনিষেধ জারি করতেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। রবিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার ফুলবাড়ি এলাকায় বিজেপির কিষান মোর্চার অনুষ্ঠানে যোগ দেন সুকান্ত।
সেখানে সুকান্ত মজুমদার বলেন অনেক দেরি করে ফেলেছে নবান্ন। আরও আগে এই নিয়ে ভাবতে হত রাজ্যকে। সন্ধ্যে সাতটার পর লোকাল ট্রেন বন্ধ হলে অফিস কর্মীরা কি করে ফিরবেন তা মাথায় রাখতে হত সরকারকে। এক দিকে বলছেন অফিসে আসতে, আবার বলছেন ট্রেন চলবে না। এমনটা তো আর হতে পারে না। ২৫ ডিসেম্বর থেকে বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে যে ভিড় হয়, তার আঁচ পেয়ে আগেভাগে বেশ কিছু রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছিল। শুধু এই রাজ্য সরকার কোন ব্যবস্থা নেননি। এই ক্ষেত্রে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা তারা মেনে চলবেন। নবান্নের নয়া নির্দেশিকায় স্পষ্টতই বলা হয়েছে, সন্ধ্যে ৭টার পর বন্ধ সমস্ত লাইনেই বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন। তবে বাকি যে সময় লোকাল চলবে তাতে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী উঠতে পারবেন না। যদিও স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে দূরপাল্লার ট্রেন। পাশাপাশি নবান্নের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে বাজার, সিনেমা হল, শপিং মল। তবে বন্ধ থাকবে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ। তবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে স্বাভাবিক ছন্দেই চলবে মেট্রো পরিষেবা। অন্যদিকে নৈশ কার্ফুর সময় শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হবে। অন্যদিকে বেড়ি পড়েছে সামাজিক অনুষ্ঠানে।
ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, মানুষের তিনটি হাত রয়েছে। একটি বাম, একটি ডান, আর একটি অজুহাত। এই ক্ষেত্রে তৃণমূল অজুহাতকে ব্যবহার করছে। স্বরাষ্ট্র সচিব আজ থেকে ১৬ দিন আগে করোনা নিয়ে কি কি নিয়ম কানুন পালন করতে হবে তা নিয়ে রাজ্যকে উপদেশ দিয়েছিলেন। এমনকি কেন্দ্র সরকার ১০টি রাজ্যে টিম পাঠাতে চেয়েছিল কিন্তু রাজ্য সরকার তা নিষেধ করে দেয়।
সুকান্ত আরও বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরীর খারাপ হলেও তাতে কেন্দ্রের দোষ হয়। সামনেই কর্পোরেশনের ভোট রয়েছে। তা নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এই ক্ষেত্রে কমিশন কি সিদ্ধান্ত নেয় তার পর বিজেপি সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ভোটের জন্য বিজেপি প্রস্তুত রয়েছে।
পাশাপাশি ত্রিপুরাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করার অনুমতি পাননি সে বিষয়ে সুকান্ত বাবুর বক্তব্য রাজনৈতিক ভ্রমণে গেছেন ত্রিপুরাতে। মাত্র একজন কাউন্সিলর তৃণমূলের। তাই তৃণমূলকে আটকানোর প্রয়োজন নেই। মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস।