এক-দু'দিন অন্তরই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। তার ফলে দেশের বিভিন্ন শহরে কোথায় পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি পার করেছে। আবার কোথায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। পিছিয়ে নেই কলকাতাও। সেখানে সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। ইতিমধ্যে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় পেট্রোলের দাম ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীর ৯ বছর পুরোনো টুইট তুলে ধরে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ও তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন একাধিক তৃণমূল নেতা।
সাল ২০১২। কেন্দ্রে তখন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। সে সময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তখনও আকাশ ছুঁয়েছিল পেট্রোলের দাম। আর সে সময় পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মোদী। ২৩ মে একটি টুইট করেছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, "পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের ব্যর্থতার উদাহরণ। এটা গুজরাতের ১০০ কোটি মানুষের উপর বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।"
এরপর সময়ের সঙ্গে দেশের ক্ষমতা গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের হাতে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, এখনও কয়েকদিন অন্তরই জ্বলানির দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের অবস্থা নাজেহাল। এবার মোদীর সেই পুরোনো টুইট তুলে ধরে তাঁকেই পাল্টা আক্রমণ করলেন মনোজ তিওয়ারি। তিনি লেখেন, "পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার উদাহরণ। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ মানুষের উপর এভাবে অকল্পনীয় বোঝা চাপানো হচ্ছে। কিন্তু, এখনও প্রধানমন্ত্রী চুপ রয়েছেন।"
আরও পড়ুন- কলকাতায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পেট্রোলের দাম, পিছিয়ে নেই ডিজেলও
ফিরহাদ লেখেন, "২০২০ সালের জুন মাসে পেট্রোলের দাম ১৭ দিন ধরে টানা বেড়েছিল। আর এক বছরের মধ্যে দেশের একাধিক শহরে পেট্রোলের দাম ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দয়া করে আপনার অহংকার ছেড়ে একটু সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করুন।"
সায়নী ঘোষ লেখেন, "বিজেপি শাসিত জনবিরোধী কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে পেট্রোপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পেট্রোলের দাম ১০০ ছোঁয়ার পথে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যথারীতি নিশ্চুপ।"