পুনর্গণনার আর্জি নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি পার্থী কল্যাণ চৌবে। অভিযোগ, ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল স্পষ্ট করে ঘোষণা হয়নি। এই নিয়ে পুনর্গণনার আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির মোট ৮ প্রার্থী।
আরও পড়ুন, রাজ্যে চিঠি পাঠাল কমিশন, দ্রুত উপনির্বাচন চেয়ে পাল্টা চিঠি মমতার সরকারের
কল্যাণ চৌবে জানিয়েছেন, 'মানিকতলা কেন্দ্রে ৩ হাজার ৩৬৩ ভোটে এগিয়ে থাকতে দেখেছিলাম তৃণমূল প্রার্থীকে। অথচ চূড়ান্ত ফলে ২০ হাজারের কাছাকাছি ভোটে জিতে গেলেন তিনি। এই অসামঞ্জস্য কী করে হল' বলে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ৫ মে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে গণনা সংক্রাান্ত নথিপত্তর সংরক্ষণের আর্জি করেছিলেন কল্যাণ। এরপরেই তিনি হাইকোর্টে মামলা করলেন। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভবনা রয়েছে। বিজেপি পার্থী কল্যাণ চৌবে আরও বলেন, 'হাইকোর্টে আমি পুনর্গণনার দাবিতে মামলা করেছি। ৮ জন বিজেপি প্রার্থী পুনর্গণনা চেয়েছেন। এর মধ্য়ে সোমবার দুটি মামলা শুনানি রয়েছে।' উল্লেখ্য,যদিও এক্ষেত্রে একটি জটিলতা রয়ে গিয়েছে। নিয়মানুযায়ী, ফলপ্রকাশের ৪৫ দিনের মধ্য়ে কোনও পার্থীকে পুনর্গণনার আবেদন জানাতে হয়। সেই নিয়ম মানেননি কল্যাণ।
আরও পড়ুন, ভরা বর্ষায় সর্ষে ইলিশ, সঙ্গে ২-৩ দিনের সফর, নয়া ভাবনায় 'হিলশা ট্যুরিজম'
নন্দীগ্রামের রায়কে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন, রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ফল ঘোষণার দিনেই নন্দীগ্রামে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। সেইদিনই আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এছাড়াও ৪ তৃণমূল প্রার্থীও আদালতে মামলা করেছেন। তাঁরা হলেন বলরামপুরের শান্তিরাম মাহাতো, বনগাঁ দক্ষিণের আলোরানি সরকার, হুগলির গোঘাটের মানস মজুমদার এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার সংগ্রাম কুমার দলুই। পুরুলিয়ার বলরামপুর কেন্দ্রে ভোট প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।