ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা, ফের করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল উত্তর দিনাজপুরে

 

  • মারণ ভাইরাস ঢুকে পড়েছে জেলায়
  • সংক্রমণ ছড়াচ্ছে উত্তর দিনাজপুরে
  • এবার আক্রান্তের হদিশ মিলল রায়গঞ্জে
  • সংক্রমিত হলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক
     

Asianet News Bangla | Published : May 14, 2020 9:50 AM IST

কৌশিক সেন, রায়গঞ্জ: পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো হলে বিপদ আরও বাড়বে না তো? ফের করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল উত্তর দিনাজপুরে। ওই ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে এনে রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল পাঁচ। 

আরও পড়ুন: ঔরাঙ্গাবাদে রেল দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা, জাতীয় সড়কে পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকাল পুলিশ

উত্তর দিনাজপুর জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা কয়েক হাজার। লকডাউনের জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছিলেন সকলেই। প্রশাসন সূত্রে খবর, বিশেষ ট্রেনে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে শ্রমিকদের। কিন্তু কোথায় তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে? স্বাস্থ্য পরীক্ষাই বা কীভাবে করা হবে? রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে জেলা প্রশাসন। ভিন রাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের কি তাহলে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে? সেই সম্ভাবনাই বেশি। সাধারণ মানুষের কাছে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এই যখন পরিস্থিতি, ঠিক তখনই করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে উত্তর দিনাজপুরে।

জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জের বাহিন পঞ্চায়েতের নয়াপাড়া গ্রাম থেকে মুম্বই-এ কাজ করতে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি।  লকডাউন জারি হওয়ার পর হাঁটাপথে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন ওই পরিযায়ী শ্রমিক। রেললাইন ধরে হেঁটে বিহারের বারসই হয়ে রায়গঞ্জে পৌঁছন শুক্রবার। ফেরার পর তাঁর লালারস সংগ্রহ করে পাঠানো হয় মালদহে। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এরমধ্যে তিনি কিন্তু বাড়ির বাইরে বেরোননি, ছিলেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। অন্তত তেমনই দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। 

আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের 'অন্ন জোগাতে' নয়া কৌশল, কাজের তাালিকা তৈরি করছে রাজ্য় সরকার

আরও পড়ুন: রাজ্যের সব আদালত বন্ধ ৩১ মে পর্যন্ত, ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চললেও কাজ হারিয়ে কষ্টে ক্লার্করা

উল্লেখ্য, গুজরাত থেকে ফেরার পর ইটাহারে এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। রায়গঞ্জ ও হেমতাবাদ ব্লকেও সংক্রমিত হয়েছেন তিনজন। তাঁরা সকলেই কলকাতায় চাকরি করতেন। লকডাউন জারি হওয়ার পর সাইকেল চালিয়ে  ফেরেন বাড়িতে।  

Share this article
click me!