আঁধার নামতেই সেই স্কুলের মধ্যেই বসে গেল অশ্লীল নাচের আসর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন তাহেরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
স্কুল যেখানে পঠনপাঠনের জায়গা, আঁধার নামতেই সেই স্কুলের মধ্যেই বসে গেল অশ্লীল নাচের (Obscene dance) আসর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন তাহেরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে(primary school)। রাতভর মাইক ভারা করে উদ্দাম নৃত্য চললেও সে কথা নাকি জানেই না স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনকী তাদের দাবি এই বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কোনও অনুমতিই নেয়নি আয়োজকেরা। প্রশ্ন উঠছে অনুমতি তো দূর, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই ধরণের অশ্লীল কাজকর্ম ঘটছে কী করে!
এদিকে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে তা মূলত বিহারে চিত্রহার যা চলতি কথায় ছামিয়া নাচের আসর নামেই পরিচিত। খুদে শিশুদের পড়াশোনার জায়গায় এই ধরণের কার্যকলাপে প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় প্রশাসনের দায়বদ্ধতা নিয়েও। হিন্দি গানের উপর অশ্লীল পোশাকের অশ্লীল উদ্দাম নাচ চলে স্কুলের অন্দরে। এদিকে শিশুদের সরকারি স্কুলে এইধরনের অপসংস্কৃতির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা নিয়ে স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন স্কুলের টিচার ইনচার্জ।
আরও পড়ুন - প্রসূনের পথের ‘কাঁটা’ রাজীব, পুরভোটের আগে ‘ঘর ওয়াপসিতেও’ নেই স্বস্তি
অন্যদিকে রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন এই স্কুলের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বিজেপির অভিযোগ, তৃনমূল আশ্রিত যুবকেরাই নাকি এই আসরের আয়োজন করেছিল।যদিও তৃণমূলের তরফে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এমনকী পাল্টা দোষারোপ করা হয়েছে বিপির দিকেই। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। তৃনমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দাবি এখানে যা হচ্ছে তা আদপে উত্তরপ্রদেশ-বিহারের সংস্কৃতি। ওই অশ্লীল সংস্কৃতিই এ রাজ্যে আমদানির চেষ্টা করছে বিজেপি। বাংলায় রবীন্দ্র নজরুলের সংস্কৃতি চলে। তাই বিজেপি এখানে মাঝেমাঝে এরকম মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন - হাওড়ায় বিজেপি কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের মধ্যেই বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ লাহিড়ী অভিযোগ করে বলেন, এই রাজ্যে শিক্ষা নীতির অধোপতন হয়েছে। শিক্ষা অঙ্গনগুলোকে নিজেদের দখলে নিয়ে সেখানে নাচের আসর বসিয়েছে তৃণমূল। যদিও তৃনমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান জানিয়েছেন, যারা এই আসর বসিয়েছে তারা বিজেপিরই লোকজন। এদিকে গোটা ঘটনার আসল সত্যতা জানতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল পরিদর্শক দীপক চন্দ্র। তিনিও জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানের জন্য বিদ্যালয়ের কাছে কোনও অনুমতি ছিলনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।