সংক্ষিপ্ত

অভিযোগ, সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলে পৌরসভা ভোট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক বক্তব্য রাখেন অমিত। সেই রোষ থেকেই তার উপর হামলা চালায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা

পুরভোটের(Municipal polls) দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। আগামী ১৯ তারিখ কলকাতা ও হাওড়ায় পুরোভোট হতে চলেছে নির্বাচন কমিশনের(election commision) তরফে জানানো হয়ে। এমতাবস্থায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষই। আর তারেই মাঝে হাওড়ার(Howrah) শিবপুরে (Shibpur) বিজেপি (BJP) যুব মোর্চা কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল-কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিস্তর চাপানউতর তৈরি হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

এই ঘটনায় শিবপুর(shibpur) থানা প্রাথমিকভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিজেপি-র দাবি শনিবার প্রকাশ্যেই হাওড়া পুর-এলাকার (Howra Municipality) উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেন বিজেপি কর্মী (bjp) অমিত ঠাকুর। বক্তব্য রাখেন একটি টিভি চ্যানেলেও। সেই রোষ থেকেই তাদের কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে ঘাসফুল(Trinamool) শিবিরের দুই নেতা মুকেশ তিওয়ারি ও টিংকু। মুকেশ ও টিংকু আবার অমিত ঠাকুরের পূর্ব পরিচিত বলেও জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন - ক্যাম্পাস খুললেও এখনই কলেজে আসতে পারবেন না প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা

সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলে পৌরসভা ভোট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক বক্তব্য রাখেন অমিত। একাধিক সরকারি কর্মসূচির বাস্তবায়ন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তারপর থেকেই নাকি তাকে শাসাচ্ছিল এলাকার ঘাসফুল শিবিরের সমর্থকেরা। অন্যদিকে অমিত জানিয়েছেন মুকেশ তিওয়ারীও নাকি আগে এলাকায় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত ছিলেন। পরে তিনি জেডিইউতে যোগ দেন। কিছুদিন আগে জেডিইউ থেকে ফিরে এসে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন তিনি।অমিতের দাবি, “গতকাল আচমকাই আমাকে ফোন করে ডাকে মুকেশ। দেখা করা মাত্রাই আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তুই অনেক বড় নেতা হয়ে গিয়েছিস বলে মারধর শুরু করে। ধাক্কাধাক্কিতেই আমার মাথা ফেটে যায়।”

আরও পড়ুন - ম্যানহোল যেন মরণফাঁদ, চোরাই মার্কেটে কেন চাহিদা বাড়ছে ম্যানহোলের ঢাকনার

যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, মূল অভিযুক্ত বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয়। পুরোন শত্রুতার জেরেই গণ্ডগোল বাঁধে দুপক্ষের মধ্যে। সহজ কথায় তৃণমূল গোটা ঘটনাকে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠী কোন্দল বলেই দাগিয়ে দিয়েছে। নিজ কর্মীকে মারধরে অভিযোগের তির তোলা হয়েছে বিজেপির দিকেই। এদিকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি শিবপুর থানার পুলিশ। পুরভোটের আগেই এই ধরণের অশান্তিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা জেলা জুড়েই। এদিকে ভোটের আগে হাতে মেরে কেটে আর একমাসের কাছাকাছি সময় রয়েছে। তার আগেই এই ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে হাওড়ার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।