আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: লকডাউনের মাঝে নিজের রাজ্যে ফিরে দুর্ভোগের শেষ নেই। স্পেশাল ট্রেন থামতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন যাত্রীরা। ট্রেন থেকে নেমে পড়লেন ১৭ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশনে।
আরও পড়ুন: ঔরাঙ্গাবাদে রেল দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা, জাতীয় সড়কে পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকাল পুলিশ
বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়েও আটকে পড়েছিলেন অনেকেই। স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীরা সকলেই এ রাজ্যের বাসিন্দা। যাত্রীদের দাবি, মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু থেকে যখন ট্রেন ছাড়ে, তখন কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু এ রাজ্যের ঢোকার পরই ঘটে বিপত্তি। কামরায় খাবার ও পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী, জল নেই ট্রেনের শৌচাগারেও। বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রেনটি রামপুরহাট স্টেশনে পৌঁছনোর পর ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে ভুক্তভোগীদের। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে বিক্ষোভ। ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে প্রায় আধঘণ্টা।
বেঙ্গালুরু থেকে স্পেশাল ট্রেনে ফিরছেন কোচবিহারের বাসিন্দা উৎপল বর্মন। তিনি বলেন, 'বাংলায় অভাব অনটন বেশি। কাজের পরিবেশ নেই। তাই কেরালা কাজ করতে গিয়েছিলাম। ৭৮০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেছি। কর্ণাটকে খাওয়া-দাওয়ার কোনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এ রাজ্যে যাত্রীদের জন্য খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করেনি সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনারও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।' আর এক যাত্রী বলদেব গোপ বলেন, 'আমরা পুরুলিয়ার টিকিট কেটেছিলাম। সেখানে ট্রেন দাঁড়ায়নি। বলা হয়েছিল, দুর্গাপুরে নামানো হবে। খাবার নেই, জল নেই। ট্রেনে চাপিয়ে আমাদের গোটা রাজ্য ঘোরানো হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা, ফের করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল উত্তর দিনাজপুরে
এখানেই শেষ নয়। বিক্ষোভের ফাঁকে আবার রামপুরহাট স্টেশনে ট্রেন থেকে পড়েন ১৭ জন যাত্রী। জানা গিয়েছে, পাঁচজনের বাড়ি বীরভূমেরই রাজগ্রামে, আর একজন মল্লারপুরের বাসিন্দা। আর বাকিদের গন্তব্য মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম ও পূর্ব বর্ধমানের গলসি। তাঁদের বাড়ি পৌঁছনো দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।