২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাঙ্ক ডাকাতির কিনারা, পুলিশের জালে জেল পালানো আসামী-সহ চার

  • ভরদুপুরে উত্তরপাড়ায় দুঃসাহসিক ব্যাঙ্ক ডাকাতি
  • লক্ষাধিক টাকা লুট করে চম্পট দুষ্কৃতীদের
  • ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার কিনারা পুলিশের
  • বমাল ধরা পড়ল ডাকাতদল
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 6, 2020 9:47 AM IST / Updated: Jun 06 2020, 04:05 PM IST

ভরদুপুরে দুঃসাহসিক ডাকাতি, হুগলির উত্তরপাড়ায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে নগদ আঠেরো লক্ষ টাকা লুট করে চম্পট দিয়েছিল তিনজন দুষ্কৃতী। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার কিনারা করে ফেলল পুলিশ। বমাল ধরা পড়ল ডাকাতদল। নগদ টাকা ও একটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: লকডাউনের ফের, অভাবের তাড়নায় গায়ে আগুন নিয়ে আত্মহত্যা নির্মাণ শ্রমিকের

নিরাপত্তারক্ষী নেই, ঢোকার মুখে নেই সিসিটিভি ক্যামেরাও। শুক্রবার দুপুরে জনা পাঁচেক কর্মী যখন হিসেব নিকেশে ব্যস্ত ছিলেন, তখন বাইকে চেপে ব্য়াঙ্কের সামনে হাজির হয় তিনজন দুষ্কৃতী। রাষ্ট্রায়ত্ত ওই ব্য়াঙ্কটি উত্তরপাড়ার রাজেন্দ্র অ্যাভিনিউ-তে। জানা দিয়েছে, কার্যত বিনা বাধায় ব্যাঙ্কে ঢুকে স্বমূর্তি ধারণ করে দুষ্কৃতীরা। ম্যানেজারের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করা হয় নগদ আঠেরো লক্ষ টাকা। এরপর ম্যানেজার-সহ ব্যাঙ্কের কর্মীদের একটি ঘরে আটকে রেখে চম্পট দেয় সকলেই। বাইকে করে পালানোর সময়ে আবার ব্যাঙ্কের কাছে রাস্তায় একগুচ্ছ নোট পড়েও যায়। ডাকাতদের কাঁধে ছিল গামছা, মুখে ঢাকা ছিল রুমালে। 

কীভাবে ব্যাঙ্ক ডাকাতির কিনারা করল পুলিশ? চন্দনগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন,  ডাকাতি করার পর ভদ্রকালী এলাকায় একটি জঙ্গলে টাকা ভাগ করার জন্য জড়ো হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। নেতৃত্বে ছিলেন শ্রীরামপুরের ডিসি ঈশানী পাল। গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় পাসোয়ান, তাপস দাস ও সঞ্জীব পাসোয়ান নামে তিনজনকে। তাঁদের জেরা করে প্রীতম ওরফের দেবজিৎ নামে আরও এক নাম জানা যায়। চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগর এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ধরা পড়ে যায় সে-ও। তার কাছ থেকে নগদ ১০ লক্ষ ৮ হাজার টাকা পাওয়া যায় গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র।

আরও পড়ুন:খাবারের সন্ধানে রাজ্য সড়কে দাঁতাল হাতি, আতঙ্ক ছড়াল ঝাড়গ্রামে

জানা গিয়েছে, বছর  ছয়েক আগে ওড়িশায় পেট্রল পাম্পে ডাকাতির ঘটনায় প্রীতমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেল থেকে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। এর আগে এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দশ থেকে বারোটি ডাকাতি ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রীতম। লকডাউনের মাঝে বিহার থেকে সাইকেল চালিয়ে সে চলে আসে  হুগলির চুঁচুড়ায়।

Share this article
click me!