সংক্ষিপ্ত
- জঙ্গলে খাবার নেই
- রাজ্য সড়কে চলে এল দাঁতাল হাতি
- একে এক গাড়িতে চলল তাণ্ডব
- আতঙ্ক ছড়াল ঝাড়গ্রামে
শাহজাহান আলি, ঝাড়গ্রাম: ভরসন্ধেবেলায় রাস্তায় বেরোতেই চক্ষু চড়কগাছ! হাতির তাণ্ডবে ফের আতঙ্ক ছড়াল ঝাড়গ্রামে। দীর্ঘক্ষণ ঝাড়গ্রাম থেকে লোধাশুলি যাওয়ার রাজ্য সড়কে বন্ধ থাকে যান-চলাচল। ভয়ে গাড়ি ফেলে রেখে পালিয়ে যান অনেকেই।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালের বদলে নার্সিংহোমে, দালালচক্রের নেপথ্যে অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা
ঝাড়গ্রামে এমনিতে হাতির অভাব নেই। তার উপর অন্য এলাকা থেকেও হাতিরা এসে ঢুকে পড়ে জঙ্গলে। খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বহিরাগত হাতিদের আনাগোনাই বেশি। বনদপ্তর সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম থেকে লোধাশুলি যাওয়ার রাজ্য সড়কটি হাতিদের করিডর। এই রাস্তায় দিয়েই পারাপার করে স্থানীয় বা রেসিডেন্সিয়াল হাতি ও দলমার হাতির দল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই করিডর দিয়ে রাজ্য সড়কে চলে আসে একটি দাঁতাল। যান চলাচলের তো প্রশ্নই ওঠে না। খাবারের সন্ধানের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার একের পর এক গাড়িতে তাণ্ডব চলে গজরাজের। শুড়ের ধাক্কায় একটি গাড়ি তো প্রায় উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়! বিপদ বুঝে কোনওরকমে ওই গাড়ি ও একটি পিকআপ ভ্যানের চালক পালিয়ে যান। এভাবেই কেটে যায় বেশ কিছুক্ষণ। শেষপর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় হাতিটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় জঙ্গলের দিকে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন সকলেই।
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে কালবৈশাখীর গ্রাসে ২৩ ছাগল, নিঃস্ব হতদরিদ্র একাধিক পরিবার
স্থানীয় বাসিন্দাদের জানিয়েছেন, খাবারের সন্ধানে প্রায়ই হাতির দল হয় লোকালয়ে নতুন বা রাস্তার উপর চলে আসে। গাড়ি ভাঙচুর করে খাবার লুট করে নেয়, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। বনদপ্তরকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বস্তুত, গত কয়েক বছরে হাতিদের রাজ্য সড়কে গাড়ি দাঁড়িয়ে করিয়ে খাবার খোঁজার প্রবণতা যে বেড়েছে, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বন দপ্তরের কর্মীরাও।