সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের ১৯ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিল। তারই বিরোধিত করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি মন্ত্রী। তাঁরা ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছিলেন।
সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আর আরূপ রায়। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের ১৯ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিল। তারই বিরোধিত করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি মন্ত্রী। তাঁরা ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছিলেন। পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ সেপ্টেম্বর।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার একটি মামলা দায়ের করে। ২০১১-২০১৬ সাল - গত পাঁচ বছরে রাজ্যের ১৯ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার সম্পত্তি অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। তাঁদের এই আয়ের উৎস কী? তা জানতে চেয়েছ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিপ্লব চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। তাঁর আইনজীবী আহমেদ শামিম ১৯ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নামের তালিকা দিয়ে তাঁদের আগের ও বর্তমান সম্পত্তির হিসেব দেন। তারপরই এই মামলা গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধানবিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ এই মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ পুনর্বিচেবনা করেই শুক্রবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের তিন মন্ত্রী। এই মামলারই পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর।
রাজ্যের নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে ২০১৭ সালেই একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তারই সূত্র ধরে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবেদনকারীর আর্জি ১৯ জনের সম্পত্তির পরিমাণ ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রায় ২৫০ শতাংশ বেড়েছে। অধিকাংশের ক্ষেত্রেই তালিকাভুক্তদের স্ত্রীরা তেমন কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত নয়। তারপরেই কীভাবে তাদের সম্পত্তির বাড়ল তাই খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এর আগে রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে ২০১৭ সালে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। সেই মামলার সূত্র ধরেই নতুন করে এই আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবী।
তালিকায় নাম রয়েছে, ফিরহাদ হাকিম, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, অরূপ রায়, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, রেজ্জাক মোল্লা, স্বর্ণকমল সাহা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। জাভেদ খান, অর্জুন সিং, অমিত মিত্র। শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাধান পাণ্ডে, সব্যসাচী দত্ত, শিউলি সাহা, মলয় ঘটক। এর মধ্যে রাজীব, সব্যসাচী, অর্জুন সিং-এর মত নেতারা বেশ কিছুদিন বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর তারা আবার দল বদল করে তৃণমূলে ফিরে আসেন। অন্যদিকে শোভন এখন আর তেমন সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। মৃত্যু হয়েছে, সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়, সাধন পাণ্ডের। কিন্তু তাদের নামও রয়েছে তালিকায়।
আরও পড়ুনঃ
অনুব্রতর গ্রেফতারিতে সরাসরি মমতাকে আক্রমণ অমিত মালব্যর, 'তৃণমূলের সবাই চোর' বললেন সুকান্ত
'গরুতো আর পিঁপড়ে নয়', অনুব্রতর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে কেন্দ্রকে আক্রমণ তৃণমূলের
'মোদী সরকার কাশ্মীরকে দুই ভাগে ভাগ করেছে', সিপিএম নেতার পোস্ট ঘিরে তুমুল বিতর্ক