রাস্তার বেহাল দশা। বর্ষাকালে তা যেন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। স্বাধীনতা ৭৫ বছর পরেই এমনই নিদারুণ ছবি মালাদার চিলাপাড়া ও লালগঞ্জ গ্রামে। আর এই খারাপ রাস্তার কারণেই গ্রামের মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। তাতেই এবার বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
রাস্তার বেহাল দশা। বর্ষাকালে তা যেন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। স্বাধীনতা ৭৫ বছর পরেই এমনই নিদারুণ ছবি মালাদার চিলাপাড়া ও লালগঞ্জ গ্রামে। আর এই খারাপ রাস্তার কারণেই গ্রামের মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। তাতেই এবার বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবিলম্বে যদি গ্রামের রাস্তা পাকা না হয় তাহলে তাঁরা ভোট বয়কটেরও ডাক দেবেন বলে জানিয়েছেন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগেই গ্রামের মানুষ পাকা রাস্তা চান বলেও স্থানীয় সূত্রের খবর।
সাক্ষাৎ মরণফাঁদ।রাস্তা না ছোট জলাশয় বোঝা দায়। নিত্যদিন নরকযন্ত্রনাকে পাথেয় করেই পথ চলতে হয়। ছোটখাটো দুর্ঘটনানিত্যসঙ্গী। জীবন হাতে করে নিয়ে চলতে হচ্ছে নিত্য পথচারী থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়াদের।একটু বৃষ্টি হলেই জল দাঁড়িয়ে ছোট খাটো জলাশয়ের রূপ নেয়। স্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাধিকবার লিখিত অভিযোগ জানিয়েও হচ্ছে না কোনো সুরাহা। ভোট আসে নেতা তৈরি হয়,কিন্তু স্থানীয় মানুষের কোন কাজ হয় না। তাই বেহাল কাঁচা রাস্তা পাকা করার দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ রাস্তায় মাছ ছেড়ে অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন মালদা জেলার মালতীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিলাপাড়া ও লালগঞ্জ গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা।এমনকি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট বয়কটের ডাক দেন দুই গ্রামের বাসিন্দারা।
ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী, গ্রেফতার হওয়া দূর- উল্টে ব্লক সভাপতি হয়ে সংবর্ধনা পেলেন
'যেমন করে পারেন আনন্দ করুন, আজ থেকে শুরু দুর্গা পুজো', UNESCOর প্রতিনিধিদের সামনে বললেন মমতা
গ্রামবাসীদের অভিযোগ,দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত এক কোদাল পর্যন্ত রাস্তায় মাটি পড়েনি। চিলা পাড়া গ্রামের আতাবুদ্দিনের বাড়ি থেকে নাজিমুদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা কঙ্কালসার অবস্থায় পড়ে আছে।এই রাস্তা দিয়ে দৈনিক প্রায় এক হাজার মানুষের যাতাযাত। বেহাল রাস্তার কারণে দুর্ভোগের শেষ নেই। কাঁচা রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে চলাচল অযোগ্য হওয়ায় অন্য এলাকার আত্মীয়-স্বজন এই গ্রামে আসে না।
গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স ঢোকেনা। রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া সম্ভব হয় না।প্রসূতি মা ও অসুস্থ রোগীকে বাঁশের তৈরি চাঙারিতে বসিয়ে ভাড়ে করে দুই কিলোমিটার পায়ে হেঁটে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। বাড়িতে ঠিকমতো পৌঁছানো যায় না মাঠেই রেখে দিতে হয় উৎপাদিত ফসল। শুধু তাই নয়,বেহাল রাস্তার কারণে গ্রামের তরুণ-তরুণীদের বিয়েও ভেঙে যাচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয় হাসপাতাল,ব্লক,থানা,ব্যাংক,বাজার ও স্কুলে। এই নরকযন্ত্রনা থেকে কবে পাবে নিস্তার সেই আশাতে অপেক্ষায় রয়েছে বাসিন্দারা।