সংক্ষিপ্ত
পঞ্জিকা অনুযাযী এখনও এক মাসে দেরী আছে পুজো শুরু হতে। কিন্তু পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী এদিন রেড ইনেস্কোকে সম্মান জানিয়ে বাংলার প্রধান উৎসব দুর্গা পুজো শুরু হয়ে গেছে বলে ঘোষণা করে দিলেন। বাংলার দুর্গা পুজোকে ইনেস্কো হেরিটেজ তকমা দিয়েছে।
পঞ্জিকা অনুযাযী এখনও এক মাসে দেরী আছে পুজো শুরু হতে। কিন্তু পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী এদিন রেড ইনেস্কোকে সম্মান জানিয়ে বাংলার প্রধান উৎসব দুর্গা পুজো শুরু হয়ে গেছে বলে ঘোষণা করে দিলেন। বাংলার দুর্গা পুজোকে ইনেস্কো হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। তারজন্য এই ইউনেস্কোকে সম্মান জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকার।
এদিন জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে যাত্রা শুরু হয়। কলুটোলা বউবাজার, চাঁদনিচক ডোরিনা ক্রনিং রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে রেডরোড মিছিল শেষ হয়। রেড রোডেই হয় মূল অনুষ্ঠানে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন - যে ধর্মাবলম্বী হই না কেন আমাদের একটাই জাত- সেটা হল উৎসব।' তিনি আরও বলেন 'আমরা বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি মানব ধর্মে। তাই মানবিকতার সঙ্গে কোনও আপস নয়। ঐক্য ও মানবিকতাই আমাদের শক্তি ও সম্পদ।' আরও বলেন ধর্ম যার নিজের হতেই পারে। কিন্তু উৎসব সকলের।'
এদিন রেড রোডের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে এই রাজ্যে দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। দরিদ্র থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মানুষরাও দুর্গা পুজো কেন্দ্রীয় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তারপরই মমতা বলেন, 'আজ থেকেই শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো। যেমন করে পারেন আনন্দ করুন। খুশিতে থাকুন।' এদিন মমতা আরও বলেন, হৃদয় বন্ধ করা যায় না। মন খোলা রাখতে হয়। মন সবুজ রেখে আনন্দ করারও পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলার দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কোর। সেই জন্য ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পাশাপাশি সংস্থার প্রতিনিধিদের তিনি এই রাজ্য বিশেষ করে কলকতার পুজো মণ্ডপগুলি ঘুরে দেখার আহ্বান জানান। পাশাপাশি অসম ও ত্রিপুরার দুর্গাপুজোর কথাও তুলে ধরেন মমতা। এদিনের অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিবিসিআই-এর সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর ছিলেন কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সের অধিকর্তা তপতী গুহ ঠাকুরতা। তাঁকেই বিশেষ সম্মান প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্যত তাঁর উদ্যোগেই এই সম্মান পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। যদিও এই নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল বেশ কিছু পোস্ট।
দুর্গাপুজো পদযাত্রায় বন্ধ রেড রোড, কখন খোলা কোন রাস্তা-রইল বিস্তারিত তথ্য
বিয়ে এখন 'use and throw' হয়ে গেছে, স্বামী-স্ত্রীকে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে লম্বা-চওড়া জ্ঞান আদালতের