'যার ক্ষমতা আছে সে লাল বাতি লাগাবে' বলে লাল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। আর সেই জবাবের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই লাল বাতি খুলে দিলেন সভাধিপতি।
লাল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তোয়াক্কা না করে জানিয়েছিলেন তার ক্ষমতা আছে তাই সে লালবাতির গাড়িতে চাপছে। তারপরেই ভোল বদল ঢাকা দিলেন লাল বাতি। 'যার ক্ষমতা আছে সে লাল বাতি লাগাবে। তোমার ক্ষমতা থাকলে তুমিও লাল বাতির গাড়িতে চাপতে পারো। আমার ক্ষমতা আছে আমি লাল বাতি লাগানো গাড়িতে চাপছি। আমার কাছে এরকম কোনও নির্দেশিকা নেই ।' লাল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে প্রশ্ন করতেই এভাবেই জবাব দিয়েছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই জবাবের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই লাল বাতি খুলে দিলেন সভাধিপতি।
আরও পড়ুন, 'অভিষেকের নেতৃত্বে ত্রিপুরা তৃণমূলমুখী হচ্ছে', দেবাংশুরা গ্রেফতার হতেই গর্জে উঠলেন ফিরহাদ
লাল বাতি নিলবাতি কান্ড নিয়ে যখন রাজ্য জুড়ে তোলপাড়।যখন বাতি লাগানো গাড়ি ধরতে চলছে অভিযান। তখন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় সভাধিপতির স্টিকার লাগানো গাড়িতে লাল বাতি জ্বালিয়ে দিব্যি পুরুলিয়া জেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। লালবাতি জ্বালিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ সভাধিপতি সুজয় বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ।কিন্তু পরিবহন দপ্তরের জারি করা সরকারি নির্দেশিকায় সভাধিপতির গাড়িতে লালবাতি জ্বালানো বিষয়ে কোন নির্দেশিকায় নেই । অথচ রাতদিন লালবাতি জ্বালিয়েই অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জী । এ বিষয়ে সভাধিপতিকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সাফ ভাষায় বলেন, 'যার ক্ষমতা রয়েছে সেই লালবাতি জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়াবে ।' প্রশ্ন উঠছে, একদিকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার লালবাতি ও নীলবাতি জ্বালানো গাড়ি ব্যবহার নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে । তারপরেও কিভাবে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে জেলা পরিষদ সভাধিপতি লালবাতি জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, প্রশাসনেরই বা নজর নেই কেন, উঠছে প্রশ্ন ।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি নেতৃত্ব । তীব্র আপত্তি জানিয়ে বিজেপির বিধায়ক নরহরি মাহাতোর দাবি, 'একজন সভাধিপতি হিসেবে গাড়িতে লাল বাতি জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়ানো আইনত বেআইনি, অপরাধ । কিন্তু নজর নেই জেলা প্রশাসনের । যদিও এ বিষয়ে জেলা পরিষদ সভাধিপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায়ের সাফ কথা, 'আমার কাছে লালবাতি লাগানো বা না লাগানোর নিয়ে কোনও নির্দেশিকা নেই । যার ক্ষমতা আছে সেই লালবাতি লাগানো গাড়িতে চাপবে । যাদের জ্বলন হচ্ছে তারাও এই জায়গায় বসে লালবাতি জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়াক, আপত্তি নেই।' কিন্তু জেলা পরিষদের সভাধিপতির সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় এই হুমকি দিলেও কাল বিকেলের পর থেকে লালবাতিতে ঢাকা পড়ে গেছে। আর জ্বলছে না লাল বাতি। প্রশ্ন উঠছে,তার যদি ক্ষমতা আছে তিনি যদি সেই পদ অধিকারী হন, তাহলে লালবাতি খুলে দিলেন কেন, যদিও ওই প্রশ্নের কোন জবাব এখনও সভাধিপতির কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। তবে জেলার রাজনৈতিক মহল বলছেন যাক সভাধিপতির খুব তাড়াতাড়ি বোধওদয় হয়েছে ভালো লাগছে।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস