লকডাউনে বন্ধ ট্রেন চলাচল, স্টেশনে ভবঘুরেদের খাওয়ানোর অনুমতি দিল না রেল

  • লকডাউনে 'অমানবিক' রেল
  • ফাঁকা স্টেশনেও জায়গা নেই ভবঘুরেদের
  • মিলল না তাঁদের খাওয়ানোর অনুমতি
  • অমানবিকতার সাক্ষী থাকল রামপুরহাট

Tanumoy Ghoshal | Published : Apr 22, 2020 1:30 PM IST / Updated: Apr 22 2020, 07:02 PM IST

রেলের অমানবিকতায় বিপাকে পড়েছেন ভবঘুরেরা। খোলা আকাশের নিচে, অপরিচ্ছন্ন জায়গায় সারতে হচ্ছে মধ্যাহ্নভোজ। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাটে।

আরও পড়ুন: 'কেউ যেন অভুক্ত না থাকে', করোনা ত্রাণে দু'মাসের বেতন দান অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর

রামপুরহাট শহরে ভবঘুরের সংখ্যা দুশোরও বেশি। বছরভর ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন চলে তাঁদের। কিন্তু লকডাউনে বাজারে সে উপায়ও নেই। ভবঘুরেদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের দুটি সংগঠন। প্রথম দিন থেকেই  রামপুরহাট স্টেশনের বাইরে খোলা আকাশের নীচে চলছিল খাওয়া-দাওয়া। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। খাবারের সঙ্গে মিশে যায় পাখির বিষ্টাও! অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। লকডাউনে কারণে এখন ট্রেন চলাচল বন্ধ, স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় নেই। ঠিক হয়, টিকিট কাউন্টারের সামনে ঘেরা জায়গায় ভবঘুরেদের খাওয়ানো হবে। মৌখিক প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান স্টেশন ম্যানেজার পুষ্কর কুমার। মধ্যাহ্নভোজের জন্য রেলের জায়গায় ব্যবহার করার অনুমতি দেন তিনি। 

আরও পড়ুন: ত্রাণ বিলি নিয়ে রণক্ষেত্র বাদুড়িয়া, জবাবে কী বললেন মুখ্য়মন্ত্রী

আরও পড়ুন: রমজানে যত্রতত্র থুতু না ফেলার অনুরোধ, করোনা রুখতে স্বাস্থ্য-বিধির পরামর্শ ধর্মগুরুদের

বুধবার সকালে যখন টিকিট কাউন্টারের সামনে ভবঘুরেদের খাওয়ানোর তোড়জোড় চলছে, তখন কর্তব্যরত আরপিএফ আধিকারিকরা বাধা দেন বলে অভিযোগ। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, রেলের জায়গা ব্যবহার করা যাবে না। যাঁরা খেতে বসেছিলেন, তাঁদেরও তুলে দেওয়া হয়। ফলে বাধ্য হয়েই ফের খোলা আকাশের নিচেই দুপুরে খাওয়ার সারেন ভবঘুরেরা। রামপুরহাট স্টেশনের ম্যানেজার পুষ্কর কুমার বলেন, 'আমি খাওয়ানোর অনুমতি দিয়েছিলাম ঠিকই। কিন্তু ভুল করে দিয়েছিলাম। আর পি এফ আমার ভুল ভাঙিয়ে দিয়েছে।' ভবঘুরেদের জন্য যদি স্টেশনে খাওয়ানো হলে কী এমন অসুবিধা হত? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

Share this article
click me!