লকডাউনের বাংলায় ত্রাণের জন্য 'হাহাকার'। এক সপ্তাহ ধরে কচুশাক ও লতা-পাতা খেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দিন কাটছে বলে অভিযোগ। ফের পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুরে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ বিলিতেও 'রাজনৈতিক ভেদাভেদ', জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বাদুড়িয়া
করোনা সতর্কতায় অবরুদ্ধ গোটা রাজ্য। লকডাউনের জেরে কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। কম-বেশি সমস্যায় পড়েছেন সকলেই। কিন্তু প্রতিদিনের রোজগারে যাঁদের সংসার চলে, দুর্ভোগ তাঁদেরই বেশি। রোজগার বন্ধ, ঘরে খাবারও নেই। গরিব খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য পঞ্চায়েত মারফৎ ত্রাণ বিলির ব্যবস্থা করেছে সরকার। কিন্তু তাতে কি আদৌও উপকার হচ্ছে? অনাহার কিংবা অর্ধাহারের কাছে হার মেনেছে করোনার আতঙ্কও! দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুরের কালিতলায় কচুশাক, লতা-পাতা খেয়েই দিন কাটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের! তাঁদের অভিযোগ, 'সরকার থেকে ত্রাণের জন্য যে চাল-ডাল পাঠানো হয়েছে, তা পঞ্চায়েত অফিসেই পচছে। এলাকায় বিলি করার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। পঞ্চায়েত সদস্যকেও বলেও কোনও লাভ হয়নি।' তাহলে কি অনাহারে মরতে হবে? খাদ্যের দাবিতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বুধবার পথে নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে প্রায় ঘণ্টা পাঁচেক। শেষপর্যন্ত প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: 'পানীয় জল কোথায় পাব', বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ মহিলাদের
আরও পড়ুন: কোভিড হাসপাতালে ডিউটি করতে গররাজি, অভিযোগ কাজে বাধ্য় করানোয় মৃত্যু চিকিৎসকের
উল্লেখ্য, লকডাউনের বাজারে ত্রাণে কিন্তু ক্ষোভ বাড়ছে মথুরাপুরে। দিন কয়েক আগে রেশন থেকে পর্যাপ্ত সামগ্রী না পাওয়ার অভিযোগে স্থানীয় লালপুর এলাকায় পথ অবরোধ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পথ অবরোধ করা হল কালিপুরেও।