এই নৃশংস ঘটনা ঘটার পর থেকেই প্রাণ ভয়ে আতঙ্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন গ্রামবাসীরাও। তবে বিরোধীরা কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূল সরকারকেই৷ যা নিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার! মঙ্গলবার সকাল থেকে কার্যত এমনই অবস্থা হয়েছে বীরভূমের রামপুরহাটের(Rampurhat) বগটুই গ্রামের বাসিন্দাদের। তৃণমূলের(TMC) উপপ্রধান খুন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই রাতের অন্ধকারে আগুন জ্বলে ওঠে বীরভূমের(Birbhum) এই গ্রামে। মৃত্যু মিছিলে মৃতের সংখ্যা ১২-১৩ না তারও বেশি, হিসেব পাওয়া যায়নি এখনও। তবে সরকারি হিসাবে এই সংখ্যা আদতে ৮। তৃণমূলের(ঊীগলোসদদত) উপপ্রধান খুব হওয়ার পরেই ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা, তবে কি রাজনৈতিক রোষ থেকেই এই আগুন জ্বলল? নাকি ঘটনা নেহাতই কাকতালীয়, সেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকেই। এমনকী ইতিমধ্যেউ উঠতে শুরু করেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের তত্ত্বও। শুরু হয়েছে জোরদার তদন্ত৷
এদিকে এই নৃশংস ঘটনা ঘটার পর থেকেই প্রাণ ভয়ে আতঙ্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন গ্রামবাসীরাও। তবে বিরোধীরা কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূল(Trinamool) সরকারকেই৷ কিন্তু আজ সারাদিন কেটে যাওয়ার পরেও, আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে সম্প্রতি রামপুরহাট হত্যাকান্ড নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে একটি চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেই চিঠিতে স্পষ্ট দলের সম্পর্ক সমস্ত অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে ঘটনার মর্মান্তিক পরিণতি নিয়েই বেশি সওয়াল করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, প্রথমেই চিঠিতে এই ঘটনাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করে শোক প্রকাশ করেন তিনি। এই ঘটনায় একাধিক প্রাণ শেষ হয়ে যাওয়ায় আক্ষেপও প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে। পাশাপাশি, ওই মহকুমার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এই নৃশংস ঘটনার রেশ পৌঁছেছে দিল্লির দরবার পর্যন্তও। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
আরও পড়ুন- নতুন হামলার ভয়ে ভিটে ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বগটুইয়ের বাসিন্দারা
তবে মমতার চিঠি থেকে জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ দাবি, রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এহেন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, এবং শীগ্রই এর যথাযথ তদন্তও হবে। একই দাবি করতে দেখা গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমদেরও। প্রসঙ্গত, রামপুরহাটের বগটুইতে ৮ জনের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তার পাল্টাই এই চিঠি লেখেন মমতা ব্যানার্জি। যা নিয়েই বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার শোরগোল।
আরও পড়ুন-