সংক্ষিপ্ত

এদিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় বীরভূম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরে জানানো হয়েছিল ভাদু শেখের খুনের পর এলাকায় যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল তা খানিক কমানো গিয়েছে। কিন্তু ভাদু শেখের গ্রামের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আলাদা কোনও রাস্তা অবলম্বন করা হয়নি।

রামপুরহাট কাণ্ডের (Rampurhat Case) জল গড়াল এবার দিল্লির দরবারেও। এদিকে এই ঘটনার আগেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আগেও একাধিকবার সরব হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। এবার রামপুরহাট কাণ্ডের জেরেই তাদের সেই অভিযোগই যেন নতুন করে জল পেল। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছে দিল্লিও। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা হয়েছে রিপোর্ট তলব। খুব শীঘ্রই রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল আসছে বলেও শোনা যাচ্ছে। এদিকে বিজেপি রাজ্য সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেও চুপ করে বসে নেই তৃণমূল নেতা (Trinamool Leader) তথা রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরাও। এদিকে সোমবার রাত ৮টায় বগটুই মোড়ে ভাদু শেখের খুনের  ঘটনাটি ঘটে। যেখান থেকে মূল ঘটনার সূত্রপাত। ভাদু শেখের মৃত্যুর পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু ভাদু শেখের গ্রামে পুলিশ যায়নি বলে জানা যায়। আর এখানেই দানা বাঁধছে রহস্য। এমনকি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। 

এদিকে পুলিশের দাবি পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় গ্রামে ঢোকা যায়নি। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের অন্দরেই। এদিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় বীরভূম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরে জানানো হয়েছিল ভাদু শেখের খুনের পর এলাকায় যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল তা খানিক কমানো গিয়েছে। কিন্তু ভাদু শেখের গ্রামের ক্ষেত্রে আলাদা কোনও রাস্তা অবলম্বন করা হয়নি। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এদিকে ভাদু মৃত্যুর পর যে গ্রামে স্বভাবতই উত্তেজনা থাকবে তা বালই বাহুল্য। সেখানে কেন পর্যন্ত পুলিশি নজরদারি চলল না বর্তমানে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে। 

আরও পড়ুন- ‘গ্রেফতার করলে দোষী হয় না, আদালতে প্রমান করতে হয়’, অভিষেক ইস্যুতে ফের সরব কুণাল

আরও পড়ুন- আর যেতে হবে না সিনেমা হল, স্মার্টফোনেই চলবে থ্রিডি ভিডিও, নয়া আবিষ্কারে সাড়া ফেলল আইআইটি মাদ্রাজ

আরও পড়ুন- ‘সেক্স পজিটিভিটি’ নিয়ে সঠিক ধারণাই তৈরি করতে পারে সুস্থ সম্পর্ক, সহজেই দূর করুন যৌনতা নিয়ে জড়তা

এদিকে ক্রমেই পুরুষশূন্য হয়ে যাচ্ছে ওই গ্রাম। ইতিমধ্যেই বাড়ি ছাড়ছেন অনেকেই। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতের ঘটনা মনে করলেই শিউড়ে উঠছেন অনেকেই। আর সেই ভয়েই নিরাপদের আশ্রয়ের খোঁজ শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। আর তা হলে যে তা আদপে-পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই হবে তাও আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গ্রামবাসীদেরও সাফ দাবি পুলিশের উপরে তারা ভরসা হারিয়েছেন অনেক আগেই। তাই নতুন করে বিপদ এড়াতেই তারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে কী বলা হয় এখন সেটাই দেখার।