Rape in Barasat : বৌদির বাড়িতে মদ্যপান করিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ নাবালকের, ব্যাপক চাঞ্চল্য বারাসাতে

বৌদির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে মদ্যপান করায় মূল অভিযুক্ত। তারপর সেখানেই বলপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়।

Jaydeep Das | Published : Jan 22, 2022 2:19 PM IST

নারী নির্যাতনের ঘটনা যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে বাংলার বুকে। এমতাবস্থায় এবার এক প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার উপস্থিতিতে নাবালিকা ধর্ষণের (Rape of minor) অভিযোগ উঠল এক নাবালকের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বারাসাতে (Barasat)। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার অভিযোগ পেয়ে মূল অভিযুক্ত শুভজিত রায়ের (১৭) সঙ্গে সুবীর রায় এবং শম্পা মন্ডল নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে বারাসাত থানার পুলিশ (Police of Barasat police station)। নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ বারাসাত নেতাজী পল্লীতে থাকাকালান শুভজিতের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাদের। বর্তমানে শুভজিত বারাসাত নোয়াপাড়ায় একটি ফ্ল‍্যাটে চলে আসে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘুরতে যাবার নাম করে নাবালিকাকে হৃদয়পুরে শুভজিততার এক বন্ধুর বৌদি শম্পা মন্ডলের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই এই কাণ্ড ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে।

অভিযোগ, বৌদির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে মদ্যপান করায় মূল অভিযুক্ত। তারপর সেখানেই বলপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়। এই ধর্ষণের ঘটনায় শম্পা মন্ডল নামে ওই মহিলার পরোক্ষ মদত আছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে ওই মহিলার পরিচিত সুবীর রায় নামে এক ব্যক্তির। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে বারাসাত থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার তাদের বারাসাত আদালতে তোলা হয়। নির্যাতিতা নাবালিকার বারাসাত হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজে মেডিক্যাল টেস্টও করার ব্যবস্থা করে পুলিশ। তারপরেই সমস্ত নথিপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে আদালতের হাতে।

আরও পড়ুন-দমদমের কাছে চলন্ত ট্রেনেই তরুণীর শ্লীলতাহানি, ফেসবুক লাইভেই আটকাল ছিনতাই

আরও পড়ুন-৫ বছরের কমবয়সীদের মাস্ক পরার ক্ষেত্রে নয়া সিদ্ধান্ত, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্র সরকারের

ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতার দাদা শান্তনু মল্লিক জানান, ২০ তারিখ সন্ধ্যেবেলা আমার বোন পড়তে গিয়েছিল কিন্তু পড়তে ঢোকেনি ও। পরবর্তীতে আমরা শুনি ওর দুটো বন্ধু ওকে ফোন করে ডাকে। বলে ঘুরতে যাব। তারপর ওদের সাথেই ঘুরতে যায়। কিন্তু ওর এক বন্ধু ঘুরতে যাওয়ার নাম করে ওর এক বৌদির বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে ওরা কোল্ড ড্রিঙ্কের মধ্যে মদ মিশিয়ে আমার বোনকে খাইয়ে দেয়। তারপরই দুই বন্ধুর মধ্যে এক বন্ধু বোনকে নিয়ে আলাদা একটা রুমে চলে যায়। ঘরে নিয়ে গিয়ে আমার বোনের সঙ্গে উল্টোপাল্টা রাজ করে। তখন বাইরে থাকা আর এক বন্ধু আর তার বৌদি মদ খেতে খেতে পাহারা দিতে থাকে। ওইদিন রাত্রিবেলা ওখান থেকে ফিরে বোন ভয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরেরদিন সকাল বেলা আমাদের সব খুলে বলে। তারপরই আমরা থানায় আসি।”  

আরও পড়ুন-ইন্ডিয়া গেটে বসছে নেতাজীর বিশাল স্ট্যাচু, কিন্তু মূর্তি তৈরির নেপথ্যে রয়েছেন কোন শিল্পী

Share this article
click me!