ওই আবাসনেই পরিবার নিয়ে থাকেন স্থানীয় বস্ত্র ব্যবসায়ী শ্যামল গাঙ্গুলি। শনিবার দুপুরে দিকে দু'জন অজ্ঞাত দুই পরিচয়ের যুবক ও এক যুবতি বহুতল আবাসনে ঢোকে। সেই সময় ওই ব্যবয়াসীর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী রূপা গাঙ্গুলি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।
ভরদুপুরে আবাসনের এক ব্যবসায়ীর ঘরে ঢুকে ডাকাতি। পেপার স্প্রে করে ঘরের ভিতরে ঢুকে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। গৃহকর্তীকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ওই মহিলার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। এক যুবতিকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু, বাকিরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার সঙ্গে ব্যবসায়ীর ছেলের বন্ধুরা যুক্ত রয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত লক্ষ্মীনারায়ণ কলোনি নবপল্লীর কৈলাস আবাসনের ঘটনা।
ওই আবাসনেই পরিবার নিয়ে থাকেন স্থানীয় বস্ত্র ব্যবসায়ী শ্যামল গাঙ্গুলি। শনিবার দুপুরে দিকে দু'জন অজ্ঞাত দুই পরিচয়ের যুবক ও যুবতি বহুতল আবাসনে ঢোকে। সেই সময় ওই ব্যবয়াসীর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী রূপা গাঙ্গুলি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগেই ওই ফ্ল্যাটে ঢোকে তারা। অভিযোগ, রূপা ফ্ল্যাটের দরজা খোলার পরই তাঁর মুখে স্প্রে করে দেয় অভিযুক্তরা। তখন চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। সেই সুযোগে তাঁর গলা থেকে হার খুলে নেয় অভিযুক্তরা। এরপর তাঁকে মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ।
এদিকে মারের চোটে চিৎকার করতে শুরু করেন রূপা। আওয়াজ পেয়ে তাঁর ফ্ল্যাটে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তখনই যুবতিকে ধরে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু, পালিয়ে যায় দুই যুবক। মার খেয়ে ততক্ষণে অসুস্থ হয়ে পড়েন রূপা। তাঁকে ভর্তি করা হয় একটি স্থানীয় হাসপাতালে। এরপর খবর দেওয়া হয় বারাসত থানায়। ওই যুবতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- রোগীকে রেফার করার শাস্তি, চিকিৎসক-নার্সদের বেদম পিটিয়ে শ্রীঘরে পরিবারের ৫ সদস্য
যুবতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পলাতক যুবকদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ব্যবসায়ীর ছেলে রোহন গাঙ্গুলি মাদকাসক্ত হয়ে কলকাতার একটি রিহ্যাব সেন্টারে চিকিৎসাধীন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র তিনি। দু'মাস আগেই তাঁকে তাঁর বাবা-মা রিহ্যাবে পাঠিয়েছিলেন। মাদকের নেশায় বন্ধুদের থেকেও অনেক ধার দেনা করেছিলেন তিনি। সেই টাকা ফেরত না পেয়ে রোহনের খোঁজ করতে থাকেন তাঁরা।
বেশ কিছুদিন আগে ধৃত যুবতি কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে আবাসনে রোহনের খোঁজখবর করছিল। তারপরই তারা ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয়। ধৃত যুবতির মোবাইল ফোন থেকে জানা গিয়েছে সে রোহনের পূর্বপরিচিত। পাওনা টাকা আদায়ের জন্যই তারা এই ডাকাতির ছক কষেছিল। কিন্তু, পেশাদার না হওয়ায় ধরা পড়ে যায়।
আরও পড়ুন- রাজ্যে অব্যাহত দলবদল, কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ ২০০ জনের
এদিকে ভরদুপুর বেলা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো আতঙ্কিত আবাসনের অন্য বাসিন্দারা। এবিষয়ে পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন তাঁরা।